রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বঙ্গ বিজেপিতে (BJP) সংগঠন ঢেলে সাজাতে দিল্লিতে জরুরি আলোচনায় বসছে শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, আগামী ৭ তারিখ এই বৈঠকে থাকবেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। থাকবেন এ রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের ২২ জন প্রতিনিধি। রাজ্য সংগঠনে বড়সড় বদলের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। রাজ্যের চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনে কার্যত হারিয়ে যাওয়ার পর সংগঠনকে নতুন করে সাজাতে উদ্যোগী কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
গত ৩১ অক্টোবর, ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভায় তৃণমূল শিবিরে ফিরেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের নির্বাচনের আগে তিনি আচমকাই ঘাসফুল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে। নিজের কেন্দ্র থেকে পদ্ম প্রতীকে লড়ে হেরেছেন। সামগ্রিকভাবে বিজেপির ফলাফলও আশাপ্রদ হয়নি। তাই ভোটের পর থেকেই গুঞ্জন উসকে উঠেছিল, রাজীব শিগগিরই গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) ফিরে আসবেন। সেই গুঞ্জন সত্যি করে ৩১ তারিখ ত্রিপুরার সভায় অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে ফেরেন বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির আমন্ত্রিত সদস্য রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)।
[আরও পডুন: ছ’মাসে কী এমন হল! বঙ্গ বিজেপির হাল দেখে হতভম্ব কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব]
রাজীব বিজেপি ছাড়ার পরই সংগঠনের রদবদল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। সেদিনই ইঙ্গিত মিলেছিল, এই রদবদল নিয়ে দ্রুতই বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপি। এবার সেই জল্পনাই সত্যি হল। সম্ভবত ৭ নভেম্বর দিল্লিতে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আলোচনা নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), অমিত শাহ (Amit Shah), জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। সূত্রের আরও খবর, এই বৈঠকের আগের দিন অর্থাৎ ৬ তারিখ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলবেন অমিত শাহ। এই আলোচনার জন্য শুভেন্দুও খুব শিগগিরই দিল্লি উড়ে যাবেন।
[আরও পডুন: ‘পেট্রল-ডিজেলের ভ্যাট কমাক রাজ্যের জনদরদী সরকার’, কেন্দ্রের উদাহরণ টেনে খোঁচা দিলীপের]
বঙ্গ বিজেপির অন্দরে জোর গুঞ্জন, এবার এখানকার সংগঠনে আরএসএসের প্রাধান্য বাড়তে চলছে। সংঘ থেকে বেশ কয়েকজনকে এ রাজ্যে সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। সপ্তাহ দুই আগে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বা আরএসএসের রাজ্য সংগঠনে রদবদল হয়েছে। দায়িত্বে এসেছেন সুব্রত চট্টোপাধ্যায় (Subrata Chatterjee)। তাঁকে ক্ষেত্র প্রচার প্রমুখের দায়িত্ব দেওয়া হল। নতুন দায়িত্ব পেলেন বিদ্যুৎ মুখোপাধ্যায়ও। প্রসঙ্গত, দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বরাবরই সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ভাল। তিনি আরএসএসের সংগঠনে আসায় বিজেপির অন্দরে ফের দিলীপ ঘোষের জোর আরও বেড়েছে বলে ধারণা ছিল ওয়াকিবহাল মহলের।