সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্ক পিছু ছাড়তে চাইছে না অক্ষয় কুমারের। প্রধানমন্ত্রী মোদির সাক্ষাৎকার থেকে সেই যে সূত্রপাত হল, তা আজও থামেনি। উলটে দিনের পর দিন তা বেড়েই চলেছে। আর এবার তো মোদিকে তুলোধোনা করতে গিয়ে অক্ষয়কে হাতিয়ার করল কংগ্রেস। যে অভিনেতাকে নিয়ে দেশপ্রেমের ছবি বানানো হয়, সেই অভিনেতাকে ইস্যু করেই দেশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তারা জানতে চেয়েছে একজন কানাডার নাগরিককে তিনি ভারতের যুদ্ধজাহাজে কীভাবে ওঠার অনুমতি দিলেন?
ঘটনাটি ঘটে ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। সেদিন আইএনএস সুমিত্রা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সঙ্গে ছিলেন অক্ষয় কুমার ও তাঁর ছেলে। সেখানে ছিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান দলবীর সিং সুহাগ ও যুদ্ধজাহাজ সুমিত্রার অন্য সদস্যরা। সেদিন সেনাপ্রধানের সঙ্গে সেলফি তুলেছিলেন অক্ষয় কুমার। এরপর অক্ষয় তাঁর টুইটারে একটি ছবি পোস্টও করেন। এতদিন এই ছবিটি আর পাঁচটা ছবির মধ্যেই বিবেচিত হত। কিন্তু অক্ষয়ের নাগরিকত্ব ইস্যু মাথাচাড়া দেওয়ার পর এই ছবিটিকেই হাতিয়ার করে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীকে কংগ্রেসের মুখপাত্র দিব্যা স্পন্দনার প্রশ্ন, “আপনি যে আপনার সঙ্গে একজন কানাডার নাগরিককে নিয়ে যুদ্ধজাহাজে উঠেছিলেন, এটা কি ঠিক ছিল?”
[ আরও পড়ুন: অযোধ্যা বিবাদে মধ্যস্থতার সময় বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট ]
প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ তুলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিরাটকে প্রাইভেট ট্যাক্সি হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন রাজীব গান্ধী। শ্বশুরবাড়ির লোকদের নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন লাক্ষাদ্বীপ। কংগ্রেসের এই নেতা ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নৌসেনার জাহাজ ব্যবহার করে সেনাকে অপমান করেছে। দেশের জলসীমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকলেও আইএনএস বিরাটকে ব্যক্তিগত যান হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। তবে শুধু আইএনএস বিরাটই নয়, তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বেড়াতে যাওয়ার জন্য নৌসেনার জাহাজ ও বায়ুসেনার হেলিকপ্টারও ব্যবহার করা হয়েছে। বিদেশিদের যুদ্ধজাহাজে তুলে কি দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে সমঝোতা করা হয়নি। এটা কি দেশের সুরক্ষার প্রশ্নে ঝুঁকি নেওয়া নয়?” কার্যত এর পালটা এবার দিল কংগ্রেস।
[ আরও পড়ুন: ছুটি কাটাতে রণতরী ব্যবহার করেননি রাজীব গান্ধী, দাবি প্রাক্তন নৌসেনা প্রধানের ]
The post নৌসেনার রণতরীতে মোদির সহযাত্রী ছিলেন ‘বিদেশি’ অক্ষয়! পালটা কংগ্রেসের appeared first on Sangbad Pratidin.