সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে সোমবার দায়িত্ব নিলেন মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। বেলা ১১টায় ঢাকায় বঙ্গভবনের দরবার হলে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাঁকে শপথ পাঠ করান। এরপর নতুন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং বিদায়ী রাষ্ট্রপতি (President) মহম্মদ আবদুল হামিদ আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ার বদল করেন। কালো মুজিব কোট ও সাদা পাঞ্জাবি পরে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও স্পিকারকে নিয়ে সকাল ১০টায় ঢাকার (Dhaka) বঙ্গভবনের দরবার হলে প্রবেশ করেন। সেসময় একটি সামরিক ব্যান্ড আনুষ্ঠানিক সংগীত পরিবেশন করে। এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতির পদে বসলেন সাহাবুদ্দিন। শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য-সহ কয়েকশো বিশিষ্ট অতিথি।
চিন (China) কালক্ষেপ না করে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপ্রধান মহম্মদ সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানিয়ে তড়িঘড়ি চিঠি দিয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। অথচ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে এই চিন সমর্থন তো দূরের কথা, অস্ত্রশস্ত্র-গোলাবারুদ দিয়ে পাকিস্তানের পাশেই থেকেছে। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করলেও স্বীকৃতি দেয়নি চিন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর পাকিস্তানপন্থী মোশতাক-জিয়াউরকে শাসকগোষ্ঠী স্বীকৃতি দিয়েছিল সে দেশ। জীবন বাঁচাতে তখন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দিল্লিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর (Indira Gandhi) তত্ত্বাবধানে পাঁচ বছর থেকেছেন।
[আরও পড়ুন: টিভি সাক্ষাৎকার দিয়ে চরম অস্বস্তিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়! রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট]
সোমবার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রপতিকে এই অভিনন্দনপত্র পাঠান চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। চিঠিতে চিনের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে মহম্মদ সাহাবুদ্দিনকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। চিঠিতে শি জিনপিং লিখেছেন, ঐতিহ্য অনুযায়ী চিন ও বাংলাদেশ প্রতিবেশী, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে দু’দেশ সর্বদা একে অপরকে সম্মান করেছে। চিঠিতে চিনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে দেওয়া গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন জিনপিং। তাঁর বক্তব্য, চিন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। দুই দেশ ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যৌথভাবে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ নির্মাণের জন্য নতুন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। চিন-বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারিত্বকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়, যেন দুই দেশের জনগণ উপকৃত হয়। শি জিনপিং চিঠিতে বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনা করেন।