সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্ক আর মহম্মদ আজহারউদ্দিন (Mohammed Azharuddin ) যেন সমার্থক। ম্যাচ গড়াপেটার মতো কলঙ্কের নাগপাশ ছাড়িয়ে ভারতীয় ক্রিকেটের প্রশাসনে প্রত্যাবর্তনও সুখকর হল না আজহারের জন্য। বিতর্কের জেরে টিম ইন্ডিয়ার (Team India) প্রাক্তন অধিনায়ককে ছাড়তে হল হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির পদও। তাঁকে HCA সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। সেই সঙ্গে সংস্থার সদস্য পদও কেড়ে নেওয়া হল আজহারের কাছ থেকে।
আজহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিসিসিআইয়ের বেশ কিছু নিয়ম তিনি মানেননি। তিনি যে দুবাইয়ের একটি ক্রিকেট ক্লাবের সদস্য, তা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে জানাননি। আজহার যে ক্লাবের সদস্য সেটি আবার এমন একটি লিগে খেলে, যাকে BCCI স্বীকৃতি দেয় না। শুধু তাই নয়, হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি থাকাকালীনও বহু বিতর্কে জড়িয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একার মতে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনাও করছেন না। তাছাড়া এইচসিএ’র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে আজহারের বিরুদ্ধে। হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অন্য সদস্যরা আজহারের বিরুদ্ধে বিসিসিআইয়ে অভিযোগও জানান।
[আরও পড়ুন: ‘অপরাধ’ করেও শাস্তি পাননি অশ্বিন, বোমা ফাটিয়ে ICC-কে তুলোধোনা প্রাক্তন পাক স্পিনারের]
তারপরই তাঁর বিরুদ্ধে পালটা পদক্ষেপ করে বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিল। গত ২৫ মে অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকেই আজহারকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেইমতো গত ১৫ জুন তাঁকে শোকজ করা হয়েছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আজহারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি HCA’র সদস্য পদ ফেরত পাবেন না। তবে, তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হলে তাঁকে ফের নিজের পদে পুনর্বহাল করা হবে। আর দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তির মুখেও পড়তে হতে পারে আজহারকে।
[আরও পড়ুন: IPL-এ ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িয়েছিল নাম, অবশেষে নির্বাসন উঠল অঙ্কিত চবনের]
প্রসঙ্গত, ম্যাচ গড়াপেটার মতো কলঙ্কের নাগপাশে জড়িয়ে ভারতীয় ক্রিকেট ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয়েছিল মহম্মদ আজহারউদ্দিনকে। গড়াপেটার অভিযোগ প্রমাণ হয়ে যাওয়ার পর আজহারকে আজীবন নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় বোর্ড। যার পর ক্রিকেটকিট চিরতরে তুলে রাখতে হয় সাতচল্লিশ টেস্টে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া অধিনায়ককে। ৯৯ টেস্ট, ৩৩৪টি ওয়ান ডে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আজহার ক্রিকেটকে বিদায় জানান। যদিও উনিশ বছর পর ২০১৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে প্রত্যাবর্তন হয় তাঁর।