সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোট পুরোপুরি সারিয়ে উঠতে না পারায় বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি থেকে বাদ পড়তে হয়েছে। ২০২৩ বিশ্বকাপের পর থেকেই মাঠের বাইরে শামি। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির আগে তিনি ফিট হয়ে উঠতে পারেন কিনা, সেটাই ছিল দেখার। শামি নিজে দাবি করেছিলেন, কোনওরকম যন্ত্রণা ছাড়াই বল করতে পারছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকা শামিকে অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি টিম ম্যানেজমেন্ট নেয়নি।
বহু প্রতীক্ষিত সিরিজে খেলার সুযোগ না পেয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন ভারতীয় পেসার। সোশাল মিডিয়ায় নিজের অনুশীলনের ভিডিও পোস্ট করে শামি বুঝিয়ে দিলেন, তিনি ফিট হয়ে উঠছেন, এবং দ্রুত ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরবেন। এই মুহূর্তে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (এনসিএ) চলেছে সুস্থ হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া। দিন কয়েক আগে চিন্নাস্বামীতে দেখা গিয়েছিল, ফের অস্ত্রে শান দিচ্ছেন তিনি। দেখা গিয়েছিল পূর্ণ রানআপে বল করতে। তাঁকে নজরে রেখেছিলেন ভারতের বোলিং কোচ মর্নি মর্কেল। বল দুদিকে সুইং করিয়ে শুভমান, অভিষেক নায়ারদের বিপাকে ফেলেছিলেন শামি। সেদিন শামিকে দেখে মনে হয়েছিল, হয়তো বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির আগে পুরোপুরি ফিট হয়ে যাবেন তিনি। দলেও রাখা হবে। কিন্তু তেমনটা হয়নি। টিম ইন্ডিয়ার অন্যতম সেরা পেসার ফিটনেস টেস্টে পাশ করতে পারেননি।
তার পর সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা বার্তায় শামি বললেন, "প্রতিদিন বোলিং করার জন্য পুরোপুরি ফিট হয়ে ওঠার চেষ্টায় নিজের সেরাটা দিচ্ছি। দ্রুত লাল বলের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার জন্য এভাবেই পরিশ্রম করে যাব।" এর পরই বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির আগে ফিট হয়ে উঠতে না পারার জন্য বিসিসিআইয়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন শামি। ক্ষমা চেয়েছেন সমর্থকদের উদ্দেশেও। তাঁর বার্তা, "আমি ক্রিকেট সমর্থক এবং বোর্ডের কাছে দুঃখপ্রকাশ করতে চাই। তবে দ্রুত লালবলের ক্রিকেট খেলার জন্য ফিট হয়ে উঠব।" সূত্রের খবর, বাংলার হয়ে রনজি ট্রফির গ্রুপ পর্বের অন্তত গোটা দুয়েক ম্যাচ খেলতে পারেন শামি। নভেম্বরের শুরুতে কর্নাটকের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে প্রত্যাবর্তন হতে পারে তাঁর।
এদিকে বোর্ড সূত্রের খবর, শামির জন্য বর্ডার গাভাসকর ট্রফির রাস্তা এখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়নি। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির জন্য ভারতীয় দল অস্ট্রলিয়া উড়ে যাওয়ার আগে যদি ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে শামি ফিটনেস প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে শেষ মুহূর্তে শামিকে অস্ট্রেলিয়াগামী বিমানে তুলে দেওয়া হতে পারে।