মহামেডান স্পোর্টিং-১ ডায়মন্ড হারবার-১
(বামিয়া সামাদ-পেনাল্টি) (জবি জাস্টিন)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষ মুহূর্তের গোলে হার এড়াল মহামেডান স্পোর্টিং। নব্বই মিনিট পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবার এগিয়েছিল ১-০ গোলে। কিন্তু রেফারির শেষ বাঁশি না বাজলে তো ম্যাচ শেষ হয় না। অ্যাডেড টাইমে হয়তো মনোসংযোগ হারিয়ে ফেলেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের ডিফেন্ডাররা। তাই পেনাল্টি বক্সের ভিতরে অবৈধ ভাবে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে সাদা-কালো ফুটবলারের মুখের কাছে পা তুলে দিলেন। রেফারি পেনাল্টি দেন মহামেডান স্পোর্টিংকে। পেনাল্টি থেকে মহামেডানের হয়ে সমতা ফেরান বামিয়া সামাদ। তার পরে আর খুবই অল্প সময় বাকি ছিল। কোনও দলই আর গোল করতে পারেনি। মহামেডান স্পোর্টিং ও ডায়মন্ড হারবার ম্যাচ ড্রয়ের কোলে ঢলে পড়ে। খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে।
[আরও পড়ুন: ‘জন্ম থেকেই গর্বিত করছে মনু’, পদকজয়ী মেয়েকে নিয়ে আপ্লুত মা সুমেধা]
ম্যাচ ড্র হলেও কলকাতা লিগে এখনও অপরাজিত কিবু ভিকুনার দল। ম্যাচটা ড্র হলেও ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাব কিন্তু টেক্কা দিয়ে গিয়েছে সাদা-কালো ব্রিগেডকে। নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট পাস খেলে আক্রমণের মাথা গেঁথেছে ডায়মন্ড হারবার। একাধিক বার মহামেডানের রক্ষণে কাঁপুনি ধরিয়ে দেন কিবু ভিকুনার ছেলেরা। ভাগ্য সহায় থাকলে এদিন তারা ম্যাচ জিততেই পারত। গোলের সুযোগ তৈরি করেও সাদা-কালো ব্রিগেডের জালে বল জড়াতে পারেনি। কিন্তু মহামেডানের খেলা দেখে বিস্মিত হন সমর্থকরা। কোথায় গেল সেই কামড়? কোথায় গেল সেই গোল খিদে? শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি না পেলে এদিনও খালি হাতে ফিরতে হত মহামেডানকে।
ডায়মন্ড হারবার প্রথমার্ধে গোল করে এগিয়ে যায়। কিবুর দলের হয়ে গোলটি করেন জবি জাস্টিন। কর্নার থেকে শূন্যে ভাসানো বলে হেড দিয়ে গোল করেন তিনি। কিন্তু জবিকে মার্কিং করছিলেন যে সাদা-কালো ডিফেন্ডার, তাঁর ভুলেই গোল পান অভিজ্ঞ ফুটবলার। জবি জাস্টিন তাঁর সেরা সময় হয়তো ফেলে এসেছেন। কিন্তু ডায়মন্ড হারবারের হয়ে তিনি আলো ছড়াচ্ছেন। গোল করছেন, প্রতিপক্ষকে সবসময়ে চাপে রাখছেন। দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের সুযোগ তৈরি করে ডায়মন্ড হারবার। কিন্তু গোল করতে না পারায় ভুগতে হয়েছে তাদের। খেলার একেবারে শেষ লগ্নে মহামেডান স্পোর্টিং পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচ ড্র করে। এক পয়েন্ট ঘরে তোলে। ড্র করেও লিগ শীর্ষে ডায়মন্ড হারবার।