সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) পর কলকাতার আরেক প্রধান মহামেডানেও ইনভেস্টর আসার কথা আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। সে খবর আগেই সমর্থকদের জানানো হয়েছিল। সোমবার তাতেই ক্লাবের তরফে সিলমোহর দেওয়া হল। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে নয়া ইনভেস্টরের সঙ্গে চুক্তির কথা অনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলে লাখো সেলামের ক্লাব।
এদিন সাদা-কালোর সচিব ওয়াসিম আক্রম জানান, বাঙ্কারহিল নামের মার্কিন কোম্পানির সঙ্গেই চুক্তিবদ্ধ হলেন তাঁরা। ‘মার্কেট কিউ’ নামে সংস্থাটিরই মাদার কোম্পানি এই বাঙ্কারহিল। যাদের নাম ইতিমধ্যেই ইনভেস্টর হিসেবে উঠে এসেছিল। ক্লাবের হাতে থাকবে ৫০ শতাংশ শেয়ার এবং নয়া ইনভেস্টর পাবে বাকি ৫০ শতাংশ। নয়া ইনভেস্টরের নাম ঘোষণা হতেই খুশির হাওয়া মহামেডান স্পোর্টিংয়ের (Mohammedan Sporting) সভ্য–সমর্থকদের মধ্যে। এবার আরও ভাল দল গড়ে প্রতিযোগিতার ময়দানে নামা যাবে বলেই বিশ্বাস তাঁদের।
[আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ শিবিরে বড় ধাক্কা, এবারের আইপিএল থেকে ছিটকে গেলেন ভুবি]
দুই প্রধানের মতো ইনভেস্টর ক্লাবে, এমনটাই দীর্ঘদিন ধরে চাইছিলেন সমর্থকরা। তবে মহামেডানে ইনভেস্টর আনার রাস্তা একেবারেই সহজ ছিল না। অভিযোগ উঠেছিল, নব নিযুক্ত ক্লাবকর্তা ওয়াসিম অ্যান্ড কোংয়ের ইনভেস্টর আনার প্রচেষ্টা ভেস্তে দিতে উদ্যোগী বেশ কিছু পুরনো ক্লাবকর্তা। মূলত তাঁদের আপত্তিতেই ইনভেস্টরের ঘোষণা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হন ওয়াসিমরা। অন্য এক ইনভেস্টরকে কার্যত নিশ্চিত করে ফেলার পরও পিছিয়ে আসতে হয়। আসলে ক্লাবের একটা বড় পরিমাণ শেয়ার ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টা মেনে নিতে পারছিলেন না পুরনো ক্লাবকর্তারা। সেখান থেকেই তৈরি হয় জটিলতা।
পুরনো ক্লাবকর্তাদের এই জেদের কথা সামনে আসতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন মহামেডান সমর্থকরা। নতুন সচিব অভিযোগ করেছিলেন, তিনি যাতে ক্লাবে ইনভেস্টর না আনতে পারেন সেজন্য ঘরে–বাইরে তাঁকে চাপে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকী সিবিআই জেরার মুখেও পড়তে হচ্ছে তাঁকে। যদিও সেদিনও তিনি নিশ্চিত করেছিলেন, ক্লাবে ইনভেস্টর আসবেই। আর এবার নিজের সেই কথাই রাখলেন ওয়াসিম আক্রম।