সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন মহম্মদ ইউনুস। কিন্তু যাঁর হাত ধরে বিজয় দিবস এসেছিল বাংলাদেশে, সেই মুজিব-উর-রহমানের নাম একবারও উল্লেখ করলেন না বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা! যাদের সহায়তায় স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ, সেই ভারতীয় সেনার নাম বাদ দিয়েই বিজয় দিবসের ভাষণ দিলেন নোবেলজয়ী। সঙ্গে জানালেন, খুব তাড়াতাড়ি বাংলাদেশে নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই। ২০২৫ সালের শেষ বা ২০২৬ সালের শুরুতে নির্বাচন হতে পারে পদ্মাপাড়ে।
গত আগস্ট মাসে আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর এই প্রথমবার বিজয় দিবস পালন করছে বাংলাদেশ। সেদেশের নানা প্রান্তে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। জাতির উদ্দেশে সকাল ১০টায় ভাষণ দেন ইউনুস। মিনিট কুড়ির ভাষণে একবারও মুজিবের নাম উল্লেখ করতে দেখা যায়নি তাঁকে। এমনকি ভারতবিরোধিতার সুরও ধরা পড়েছে ইউনুসের ভাষণে। মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনার অবিস্মরণীয় অবদানের কথা একবারও বলেননি নোবেলজয়ী। তবে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
ভাষণে নোবেলজয়ী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নকে হত্যা করেছিল এক স্বৈরাচারী সরকার। কিন্তু এবারের বিজয় দিবস থেকে নতুন বাংলাদেশ গঠনের সূচনা হল। আর সেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলেই আশ্বাস ইউনুসের। ভাষণে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা চলছে। সেই কারণেই সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ঢাকার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু নতুন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মোটেই অরক্ষিত থাকতে হবে না। সমস্ত অসম্ভবকে বাস্তব করে তুলবে এই নতুন বাংলাদেশ।
বিজয় দিবসে ইউনুসের ভাষণের অনেক সময়জুড়ে ছিল নির্বাচন। তিনি বলেন, ভোটার তালিকায় বেশ কিছু সংশোধন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। নির্ভুলভাবে ভোটার তালিকা তৈরি করে তারপর নির্বাচন করাতে গেলে সময় লাগবে। তাই ২০২৫ সালের একেবারে শেষদিকে ভোট হতে পারে। বা ২০২৬ সালের প্রথমদিকে ভোট হতে পারে বাংলাদেশে। উল্লেখ্য, দ্রুত নির্বাচন করাতে ইউনুসের উপর চাপ বাড়িয়েছে খালেদা জিয়ার বিএনপি। দেরিতে ভোট হলে বাংলাদেশে অরাজকতা বাড়বে বলে তাদের দাবি। কিন্তু সংস্কার করে সময় নিয়ে নির্বাচনের সিদ্ধান্তেই এখনও অনড় ইউনুস। অর্থাৎ আরও এক বছর কুর্সিতে থাকতে চলেছেন তিনি।