shono
Advertisement

সৃঞ্জয়-দেবাশিস ছাড়া মোহনবাগান অচল: সুব্রত ভট্টাচার্য

ক্লাব সচিবের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন মোহনবাগানের ঘরের ছেলে। The post সৃঞ্জয়-দেবাশিস ছাড়া মোহনবাগান অচল: সুব্রত ভট্টাচার্য appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 05:23 PM Mar 13, 2018Updated: 06:46 PM Mar 13, 2018

স্টাফ রিপোর্টার:  ক্লাবের দুই শীর্ষকর্তার পদত্যাগ নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন ফুটবলার ও মোহনবাগানে ঘরের ছেলে সুব্রত ভট্টাচার্য। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘সৃঞ্জয় বসু ও দেবাশিষ দত্ত না থাকলে মোহনবাগান ক্লাব অচল হয়ে যাবে। ক্লাবের স্বার্থে দু’জনকেই প্রয়োজন।’

Advertisement

[মোহনবাগানে বড় ঘোষণা, পদত্যাগ দুই শীর্ষ কর্তা সৃঞ্জয় ও দেবাশিসের]

শারীরিক অসুস্থতার কারণের ক্লাবের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন টুটু বসু। সচিব অঞ্জন মিত্রও সুস্থ নন। মোহনবাগান ক্লাবের যাবতীয় দায়িত্বই সামলাচ্ছিলেন সহ-সচিব সৃঞ্জয় বসু ও অর্থ-সচিব দেবাশিষ দত্ত। সোমবার পদত্যাগ করলেন দু’জনেই। সাংবাদিক সম্মেলনে করে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে দিয়েছেন মোহনবাগানের এই দুই শীর্ষকর্তা। সহ-সচিব ও অর্থ সচিবের বক্তব্য, সচিব অঞ্জন মিত্র যেভাবে ক্লাব চালাতে চাইছেন, তা তাঁদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। ক্লাব পরিচালনার ক্ষেত্রে আগের মতো দৃঢ় মানসিকতা দেখাতে পারছেন না তিনি। তাই মোহনবাগানের স্বার্থেই পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সৃঞ্জয় বসু ও দেবাশিষ দত্ত। কোম্পানির ডিরেক্টর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তাঁরা।  আচমকাই তাঁদের এই সিদ্ধান্তে হকচকিয়ে দিয়েছেন মোহবাগানের অন্যন্য কর্মকর্তা ও সমর্থকরা। এরআগেও বিভিন্ন ডামাডোলের মধ্যে ক্লাব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন এই দুই কর্তা। পরে ক্লাবের স্বার্থেই ফিরেও এসেছিলেন।

[ডানা ছাঁটা হল খালিদের, ইস্টবেঙ্গলের টিডির ভূমিকায় সুভাষ ভৌমিক]

মোহনবাগান থেকে সঞ্জয় বসু ও দেবাশিস দত্তের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত অবশ্য মেনে নিতে পারছেন না প্রাক্তন ফুটবলার ও সবুজ-মেরুনের ঘরের ছেলে সুব্রত ভট্টাচার্য। গত বছর ২৯ জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে তাঁকে মোহনবাগান রত্ন পুরস্কারে সম্মানিত করেছে ক্লাব। সুব্রত ভট্টাচার্যের সাফ কথা, ‘সৃঞ্জয়, দেবাশিস না থাকলে মোহনবাগান অচল হয়ে যাবে। এই দু’জনকে বাদ দিয়ে আর যাই হোক মোহনবাগান চলতে পারে না। ক্লাবের স্বার্থে এই দু’জনের থাকা অবশ্যই দরকার। কেন এরা সরে যাবে? আমার কাছে ব্যাপারটা স্পষ্ট নয়। তবে যে কারণেই সরুক না কেন, এতে ক্লাবের ভাল হবে না।‘  তাঁর সংযোজন, ‘ক্লাবে এখন প্রচুর কাজ। এই দু’জন তো শুধু ফুটবল দেখত। তাহলে এদের দু’জনকে শুধু ফুটবল দেখার দায়িত্ব দেওয়া হোক। বাকি কাজ অন্যান্যদের দিয়ে করাতে পারেন অঞ্জনদা। তবে একটা কথা মানতেই হবে, প্রত্যেককেই একটা সময় সরে যেতে হয়। কখনও বয়সের ভারে, কখনও কাজের সূত্রে। আঘাত না করেই বলছি, অঞ্জনদার উচিত সরে যাওয়া। বরং তিনি থাকুন মাথার ওপর। তাঁর অভিজ্ঞতারও প্রয়োজন আছে।  দেবাশিস-সৃঞ্জয় তো তাঁরই ছেলে। এরা ক্লাব চালালে সমস্যা কোথায়?’

[সম্পর্কের টানাপোড়েনে জর্জরিত হাসিন, সাংবাদিকের সামনেই মেজাজ হারালেন]

ময়দানে মোহনবাগানের ঘরের ছেলে বলেই পরিচিত সুব্রত ভট্টাচার্য। দীর্ঘ ফুটবলার জীবনে সবুজ-মেরুন ছাড়া অন্য ক্লাবের হয়ে খেলেননি তিনি। পরবর্তীকাল কোচ হিসেবেও মোহনবাগানকে প্রচুর ট্রফি দিয়েছেন নামজাদা এই স্টপার। গতবছর আবার মোহনবাগান ক্লাবের নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। বিরোধী শিবিরের প্রার্থী ছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য।

[ ভাড়া বাড়িতে থাকছেন বিরুষ্কা, জানেন মাসে কত টাকা দিতে হয়?]

The post সৃঞ্জয়-দেবাশিস ছাড়া মোহনবাগান অচল: সুব্রত ভট্টাচার্য appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement