সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিবাহবিচ্ছেদে পরে কেটে গিয়েছে এক বছরেরও বেশি সময়। এবার কি তাহলে নতুন করে জীবন শুরু করার কথা ভাবছেন শিখর ধাওয়ান? সেরকম ইঙ্গিত মিলল সদ্য অবসর নেওয়া ক্রিকেটারের ইনস্টাগ্রামে। গব্বরের পোস্ট করা একটি ভিডিও দেখেই নেটদুনিয়ার প্রশ্ন, আবার কি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন শিখর?
অস্ট্রেলিয়া নিবাসী বঙ্গকন্যা আয়েশার সঙ্গে ২০১২ সালে বিয়ে করেন শিখর। তাঁদের একটি পুত্রও আছে। তাছাড়াও বিয়ের পর আয়েশার দুই কন্যাকে দত্তক নেন শিখর। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে তাঁরা আলাদা থাকতে শুরু করেন। তিন সন্তানকে নিয়ে মেলবোর্নে থাকতেন আয়েশা। এহেন পরিস্থিতিয়ে শিখর অভিযোগ আনেন, আয়েশা তাঁর সঙ্গে নিষ্ঠুরতা করছেন। এমনকী তাঁর কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
প্রায় তিন বছর ধরে দিল্লির পারিবারিক আদালতে শিখর-আয়েশার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলে। প্রথমদিকে যদিও শিখরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন আয়েশা। তবে মামলা চলাকালীন সেভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি তাঁকে। ধাওয়ান আয়েশার বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতার যে যে অভিযোগ করেছিলেন, আয়েশা হয় বেশিরভাগ অভিযোগের কোনও বিরোধিতা করেননি নাহয় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেননি। ফলে আদালতের পর্যবেক্ষণ, আয়েশা ধাওয়ানের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করেছেন। সন্তানকে প্রায় এক বছর ধাওয়ানের থেকে দূরে সরিয়ে রেখে তাঁকে মানসিকভাবে যন্ত্রণা দিয়েছেন। ২০২৩ সালে পাকাপাকিভাবে বিচ্ছেদ হয় শিখর-আয়েশার।
প্রাক্তন ক্রিকেটারের দ্বিতীয় বিয়ের জল্পনা উসকে গিয়েছে তাঁর একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে। বাবার সঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করেন শিখর। সেখানে তিনি বলেন, "বাবা আমি আবার বিয়ে করতে চাই।" সঙ্গে সঙ্গে শিখরের বাবা মহেন্দ্র পাল ধাওয়ানের জবাব, "আরে, প্রথমবারই তো তোর মুখ হেলমেটে ঢেকে বিয়ে দিতে হয়েছিল।" রসিকতা করতে গিয়ে হেসে গড়িয়ে পড়েন দুজন। ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে শিখর লেখেন, 'আমাকে কি এতটাই খারাপ দেখতে?' আপাতদৃষ্টিতে মজার ভিডিও হলেও নেটিজেনদের একাংশের প্রশ্ন, এইভাবে কি তাহলে বিয়ে করার ইঙ্গিত দিলেন শিখর?