shono
Advertisement

ডার্বি শেষেই প্লে-অফে মন ফেরান্দোর, হারের জন্য রেফারিকে দুষছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ

তবে লিগে মোহনবাগানের পারফরম্যান্সে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন ফেরান্দো।
Posted: 09:54 AM Feb 26, 2023Updated: 03:56 PM Feb 26, 2023

শিলাজিৎ সরকার: ৯০ মিনিটের লড়াইয়ে বারবার উত্তেজিত হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বিশেষত ৬৮ মিনিটে স্লাভকো ডামজানোভিচের হেড জালে জড়াতেই লাফিয়ে ওঠেন। আসলে ডার্বি তো শুধু মর্যাদার লড়াই ছিল না মোহনবাগান (Mohun Bagan) কোচ জুয়ান ফেরান্দোর কাছে। এই ম্যাচ জিতলে আইএসএল প্লে-অফে ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা মিলবে- এই অঙ্কও মাথায় ছিল তাঁর। তাই ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে প্লে-অফ নিয়েই কথা বললেন ফেরান্দো।

Advertisement

“লিগে তৃতীয় হওয়ার বিষয়টি আমার মাথায় ছিল। কারণ ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) বিরুদ্ধে জিতলে তবেই প্লে-অফে ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ মিলত। এবার প্লে-অফের জন্য তৈরি হতে হবে। মাঝে আর কয়েকটা দিন আছে। তবে ফুটবলাররা ক্লান্ত। সেটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে।” বলেন ফেরান্দো। ৪ মার্চ ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে প্লে-অফের ম্যাচ খেলবে মোহনবাগান।

[আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারত সিরিজ জিতবে ৪-০ ব্যবধানে, ভবিষ্যদ্বাণী সৌরভের]

তবে লিগে দলের পারফরম্যান্সে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন ফেরান্দো। বলেন, “এই মরশুমটা আমাদের জন্য সহজ ছিল না। সেখানে দাঁড়িয়ে ডার্বি জিততে পেরে ভাল লাগছে। সবমিলিয়ে লিগে ছেলেদের পারফরম্যান্স নিয়ে বলতে পারি, আমি পঞ্চাশ শতাংশ খুশি। তবে ছেলেরা লড়াই করছে। বিশেষত হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে হারের পর ওরা যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তাতে কৃতিত্ব দিতেই হয়।”
ডার্বিতে (ISL Derby) দলের পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে সবুজ-মেরুন কোচ বলেন, “প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল অনেক বেশি সংগঠিত ফুটবল খেলেছে। তবে আমরা ওদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়েছি। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা মাঠে জায়গা তৈরি করে তা কাজে লাগানোর উপর জোর দিয়েছিলাম। তার ফলও পেয়েছি।”

লিস্টন কোলাসোর পরিবর্তে আশিক কুরুনিয়নকে প্রথম একাদশে রেখেছিলেন ফেরান্দো। তাঁর খেলা নিয়ে কোচ বলেন, “আশিক ভাল খেলেছে। অনেক সুযোগ তৈরি করেছে। ওর উপস্থিতি চাপ বাড়িয়েছিল প্রতিপক্ষের উপর। মনবীর (সিং) নিয়েও একই কথা বলা যায়। ওদের জুটি আমাদের কাজটা সহজ করে দিয়েছে।”

[আরও পড়ুন: কুর্নিশ! সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরই মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসলেন আলিপুরদুয়ারের কন্যা]

এদিকে, ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন হারের অন্যতম কারণ হিসাবে তুলে ধরলেন খারাপ রেফারিংকে। বললেন, “দ্বিতীয়ার্ধে একটা পেনাল্টি আমাদের প্রাপ্য ছিল। সেটা পেলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতেই পারত। আমি বলছি না যে রেফারি পেনাল্টি না দেওয়ার জন্যই আমরা হেরেছি। তবে এমন ম্যাচে ছোট ছোট বিষয় তফাত গড়ে দেয়।” একইসঙ্গে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে মানের পার্থক্যের কথাও শুনিয়ে গেলেন স্টিফেন, “মোহনবাগানের সঙ্গে আমাদের দলের তফাত অনেকটাই। ওরা যে অর্থ দিয়ে একটা বিদেশি আনে, আমাদের পাঁচটা বিদেশির জন্য ওই বাজেট বরাদ্দ করা হয়। অক্টোবর থেকে দলে বদল করার চেষ্টা করেছি। যে ফুটবলার পছন্দ করেছি, তারমধ্যে শুধু জেক জার্ভিসকে সই করাতে পেরেছি। আমি তো আর নিজের টাকায় ফুটবলার সই করাতে পারি না!”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement