হোসে ব্যারেটো: রবিবার আরও একটা ডার্বি। আবার মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ। গতবারও বলেছিলাম, কামিন্সরা এগিয়ে থাকবে। আবার ডার্বির আগে আমি কিন্তু সেই একই কথা বলব। রবিবার খাতায়-কলমে মোহনবাগানই (Mohun Bagan) সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। কাকতালীয়ভাবে যেদিন এই ডার্বি হচ্ছে, সেই ৩ সেপ্টেম্বর আবার আমার জন্মদিনও বটে। তাই এই জন্মদিনের দিন যদি মোহনবাগান ম্যাচটা জেতে তাহলে আমার কাছে বাড়তি পাওনা হবে।
তবে, যে কথাটা এবারের লেখার সঙ্গে যোগ করতে চাই সেটা হল এই ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্র কিন্তু তাদের স্প্যানিশ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। গত ডার্বি থেকেই দেখে আসছি, এই মানুষটার অভিজ্ঞতা আর আত্মবিশ্বাসের মিশেল চোখে পড়ার মতো। উনি জানেন নিজের এই আত্মবিশ্বাসকে কীভাবে ছেলেদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হয়। এই জায়গাটাতেই ইস্টবেঙ্গলকে তরতাজা মনে হয়েছে আমার। গত কয়েক বছর ধরে ডার্বিতে জয় না পাওয়ার পর গত ডার্বি জিতেই ছন্দে এসেছে দলটা। সমর্থকদের পাশে পাচ্ছে। এই পরিবেশটাই একটা দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেকটা সাহায্য করে। এই ধারাটাকে ধরে রাখতে চাইবে ইস্টবেঙ্গল।
[আরও পড়ুন: পাক ম্যাচের পরই ঠিক হয়ে গেল ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপের দল, রোহিতের দলে কারা?]
এরপরেও বাস্তবের দিকে তাকিয়েই বলছি, রবিবার মোহনবাগানকেই কিন্তু এগিয়ে রাখব। ইস্টবেঙ্গলের কাছে যেমন গত ডার্বি থেকে নিজেদের ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচ ছিল। ঠিক তেমনই মোহনবাগান চাইবে যত দ্রুত সম্ভব আগের বড় ম্যাচটা ভুলে গিয়ে রবিবার মাঠে নামবে। আমি জানি মোহনবাগান গত হারটা থেকে শিক্ষা নিয়ে রবিবার মাঠে নামবে। প্রতিটা ব্যর্থতার পিছনেই কিছু ভাল দিক থাকে। এই হারটা থেকে শিক্ষা নেওয়াটাও একটা দলের পক্ষে ইতিবাচক দিক।
কেন আমি মোহনবাগানকে এগিয়ে রাখছি তার একটা কারণ স্পষ্ট রয়েছে। দলটার ভারসাম্য। এই দলটায় যেমন ভালমানের ভারতীয় ফুটবলার আছে, পাশাপাশি ভাল বিদেশি থাকায় দলটা সারা ম্যাচ একই স্পেসে খেলতে পারে। এটা একটা দলের পক্ষে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জেসন কামিন্সরা, সাদিকুরা ধীরে ধীরে ফর্মে আসছেন। সময় দিতে হবে ওদের। আনোয়ারকে দেখে খুব ভাল লেগেছে গত ম্যাচে। সেটপিসেও ফেরান্দোর ছেলেরা এগিয়ে থাকবে বলে মনে করছি।
[আরও পড়ুন: ‘এই ইটবেঙ্গল ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে’, ডুরান্ড ফাইনালের আগে আশাবাদী মনোরঞ্জন]
এটা এখন মরশুমের একেবারে শুরু। দুটো দলই ধীরে ধীরে নিজেদের প্রস্তুত করছে। এই দিকটাও মাথায় রাখতে হবে। আমি চাইব একটা ভাল ম্যাচ দেখতে। বিদেশিদের পাশাপাশি নজর রাখব ভারতীয় ফুটবলারদের উপরও। যদিও জানি এই ডার্বির আগাম কোনও পূর্বাভাস হয় না। অনেক অঙ্ক মেলে, আবার অনেক অঙ্ক মেলে না। আমরা সামগ্রিক পরিবেশ আর অবস্থা দেখে একটা পূর্বানুমান করতে পারি। সেই জায়গায় দাঁড়িয়েই এই ডার্বিতে আবার এগিয়ে রাখছি মোহনবাগানকেই।