মোহনবাগান: ৫ (সুহেল-৩ একটি পেনাল্টি, ফরদিন-২)
ডালহৌসি এসি: ২ (শিব হরি, আভাস)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জুনিয়রদের নিয়েই কলকাতা লিগে ফুল ফোটাচ্ছেন মোহনবাগান কোচ বাস্তব রায়। ডালহৌসিকে হারিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক করল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। তবে রক্ষণ নিয়ে হয়তো এখনও খানিকটা চিন্তায় থাকবে বাগান শিবির।
তিন বছর পর রবিবাসরীয় বিকেলে ঘরের মাঠে নেমেছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। স্বাভাবিক ভাবেই তাই সমর্থকদের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই এদিন মাঠ ভরিয়েছিলেন দর্শকরা। তাঁদের একেবারেই নিরাশ হতে হয়নি। শুরু থেকেই দাপটের সঙ্গে খেলে পাঁচ-পাঁচবার ডালহৌসির রক্ষণ ভেদ করেন সুহেলরা। এই সুহেল আহমেদের হ্যাটট্রিকের সৌজন্যেই এদিন পরপর তিন ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেল গঙ্গাপারের ক্লাব।
[আরও পড়ুন: ‘৫ মাসে সরকার পড়ে যাবে’, শান্তনু ঠাকুরের দাবিতে সহমত সুকান্ত, পালটা কুণালের]
গত ম্যাচে টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও ৫টি গোল করেছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। তবে এদিন প্রথমার্ধে মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে গোলের কোনও সুযোগ দেননি সুমিতরা। জোড়া গোল করে প্রথমার্ধেই দলকে এগিয়ে দেন সুহেল। দ্বিতীয়ার্ধেও ডালহৌসির ডিফেন্স নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করলেন তাঁরা। ৪৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। পরের দুটি গোল করেন ফরদিন আলি মোল্লা। তবে আগের দুই ম্যাচের মতো এদিনও গোল হজম করতে হল গঙ্গাপারের ক্লাবকে। তাও আবার দু’টি। এদিন দু’টি গোল শোধ করেন শিব হরি ও আভাস। বাস্তব রায় মুখেই যতই বলুন রক্ষণ ভাগ নিয়ে ভাবনার তেমন কিছু নেই, কিন্তু আগামী দিনে ডিফেন্সের এই ফাঁকফোঁকড় চিন্তার ভাঁজ ফেলতে পারে বইকী।
তবে আপাতত কলকাতা লিগে অশ্বমেঘের ঘোড়ার মতোই ছুটছে মোহনবাগান। তাই এসব নিয়ে বিশেষ চিন্তা করতে নারাজ বাগান কোচ। তিন ম্যাচে ১৩টি গোল করে ফুরফুরে মেজাজে গোটা শিবির।