মোহনবাগান: ২ (কামিন্স, সাহাদ)
ওড়িশা এফসি: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও অতিরিক্ত সময় কিংবা পেনাল্টি শুটআউট নয়। জিততে হবে ৯০ মিনিটেই। ছেলেদের পাখি পড়া করিয়ে দিয়েছিলেন কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। গুরুর কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করলেন কামিন্সরা। রুদ্ধশ্বাস ইনজুরি টাইমে সাহাল আব্দুল সামাদের গোলে আইএসএল ফাইনালে পৌঁছে গেল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে। এই মন্ত্রেই রবিবার ভরা যুবভারতীতে নেমেছিলেন দিমিত্রি পেত্রোতোসরা। ওড়িশার ঘরের মাঠে ১-২ হারতে হয়েছিল হাবাসের ছেলেদের। ফলে এই ম্যাচে অন্তত ২ গোলের ব্যবধানে না জিততে পারলে এবারের মতো আইএসএল থেকে বিদায় নিতে হত মোহনবাগানকে। কিন্তু লিগ শিল্ড জয়ীরা কি আর এত সহজে হার মানার পাত্র? সেমিফাইনালের প্রথম লেগের হারের হতাশা ভুলে এদিন অলআউট আক্রমণে যান মনবীর সিংরা। আর তাতেই সাফল্য আসে ম্যাচের ২২ মিনিটে। কামিন্সের গোলে এগিয়ে যায় হোম ফেভারিটরা।
[আরও পড়ুন: ইয়ে দোস্তি…, স্ট্রাইক রেট বিতর্কে বিরাটের পাশে গম্ভীর, মুখ খুললেন দুজনের সম্পর্ক নিয়েও]
দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে লোবেরার দল। কিন্তু প্রায় নিশ্চিত গোল আটকে দিয়ে ফের সমর্থকদের বাহবা কুড়িয়ে নেন কাইথ। সবুজ-মেরুনের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা রয় কৃষ্ণ এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন। মোহনবাগানও গোলের সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। ৯০ মিনিটের খেলা যখন শেষ, ম্যাচ গড়াবে ইনজুরি টাইমে, তখন অনেকেই ধরে নিয়েছেন, ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য অতিরিক্ত সময়ের দিকে নজর রাখতে হবে। কিন্তু সব সমীকরণকে ভুল প্রমাণ করে দিলেন সাহাল।
মনবীরের বাড়ানো বল সামাদের মাথা ছুঁয়ে জালে জড়িয়ে যায়। আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই নিশ্চিত হয়ে যায় মোহনবাগানের ফাইনালের টিকিট। কারণ যুবভারতীর শব্দব্রহ্মের মাঝে ওড়িশা তখন গোল শোধের আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছে।
গতবার জুয়ান ফেরান্দোর তত্ত্বাবধানে প্রথমবার আইএসএল ট্রফি এসেছিল গঙ্গাপারের তাঁবুতে। আরও একবার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির দোরগোড়ায় পৌঁছে গেলেন পেত্রোতোসরা। আইএসএলের 'লাকি' কোচ হাবাসের হাত ধরে লিগ শিল্ডের পর ফের ট্রফিও ঘরে তুলবে মোহনবাগান। আর তাতেই দলের সোনালি সফরের বৃত্ত সম্পন্ন হবে। রোববার রাত থেকেই এমন স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিলেন বাগান ভক্তরা।