সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে নতুন করে চিন্তা বাড়িয়েছে করোনার সংক্রমণ (Corona Pandemic)। ইতিমধ্যে দু’লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে দৈনন্দিন সংক্রমণের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে করোনা বিধি মেনেই বারপুজো হল ময়দানের দুই প্রধানে। তবে মোহনবাগান (Mohun Bagan) খেলোয়াড়দের কয়েকজন নিজেদের ক্লাবে বারপুজোর অনুষ্ঠানে এলেও ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal) উপস্থিত ছিলেন না বর্তমান কোনও খেলোয়াড়।
প্রতিবছর বাংলা নববর্ষের দিনই ময়দানের ক্লাবগুলিতে আয়োজিত হয় বারপুজো। ওই দিন উপস্থিত থাকেন ক্লাবের সদস্য সমর্থকরা। তবে গত মরশুমে করোনা আবহে তাতে ছেদ পড়ে। সকলের অগোচরেই ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানে বারপুজো অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সংক্রমণের জন্য উপস্থিত থাকতে পারেননি অনেক সমর্থকই। তবে এবার গত কয়েকমাস আগেও যখন মনে হচ্ছিল, করোনা বোধহয় বিদায় নিতে চলেছে, তখন এই মরশুমের বারপুজো অনুষ্ঠান ঠিক ভাবে করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল দু’প্রধান। কিন্তু দ্বিতীয়বারের জন্য করোনার ঢেউ আছড়ে পড়তেই যাবতীয় পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়। ফলে আড়ম্বরহীনই হল ইস্ট-মোহনের বারপুজো।
[আরও পড়ুন: এবার কেকেআরেও ফিক্সিংয়ের ছায়া! ৮ বছরের জন্য নির্বাসিত নাইটদের প্রাক্তন বোলিং কোচ]
এদিন সকালে মোহনবাগানের বারপুজোয় উপস্থিত ছিলেন ক্লাব কর্তারা। ছিলেন সঞ্জয় সেন। এছাড়াও বর্তমান ফুটবলারদের মধ্যে ছিলেন গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্য, প্রবীর দাস, প্রণয়, প্রীতমরা। এসেছিলেন প্রাক্তন ফুটবলাররাও। অন্যদিকে, লাল-হলুদে অবশ্য বর্তমান দলের কোনও ফুটবলারই উপস্থিত ছিলেন না। তবে ছিলেন ক্লাব কর্তা দেবব্রত সরকার। এছাড়া এসেছিলেন সুভাষ ভৌমিক, রহিম নবি, দীপেন্দু বিশ্বাসের মতো প্রাক্তন ফুটবলাররা। একসঙ্গে বেশ খানিকক্ষণ আড্ডাও দিতে দেখা যায় তাঁদের। ফুল নিয়ে ক্লাবে আসেন ক্রীড়া প্রশাসক বিশ্বরূপ দেও। তবে প্রথা মেনে উপস্থিত মুষ্টিমেয় সমর্থকদের মিষ্টি বিতরণও করা হয় ক্লাব তাঁবু থেকে।