প্রসূন বিশ্বাস: ম্যাচ শেষ। উল্লাসে ভেসে যাচ্ছে মোহনবাগান গ্যালারি। তারই মধ্যে এক ছোট্ট সবুজ-মেরুন সমর্থক হাত জোড় করে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছিল মোহনবাগান কোচ জোসে মোলিনাকে। দূরের সেই ছোট্ট সমর্থকটিকে কি দেখতে পারলেন মোলিনা? তবে হাত নেড়ে তিনিও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছিলেন সমর্থকদের উল্লাসের দিকে তাকিয়ে।
ততক্ষণে মাঠে চলে এসেছেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কাও। তিনিও বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে গেলেন মোহনবাগান কোচের সঙ্গে। কী কথা হল দুজনের মধ্যে? তা অবশ্য জানা না গেলেও এটা নিশ্চিত এই ফলাফলের পর মোলিনা যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলেন। তবে এই ম্যাচ নিয়ে আর ভাবতে চান না মোহনবাগান কোচ। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসেই বলে দিলেন, “পরের ম্যাচেই আবার ডার্বি। সেই ম্যাচ নিয়েই এবার ভাবা শুরু করব। দল জিতলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। আমি খুশি ঠিকই, তবে আরও গোল হলে ভালো হত।”
অধিনায়ক শুভাশিস বসু সরাসরি জানিয়ে গেলেন, পরের ডার্বির আগে এই জয় আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে। মোহনবাগান জার্সিতে প্রথম গোল করে জেমি ম্যাকলারেনও বলছিলেন, “এটা অন্যরকম অনুভূতি। কয়েক সপ্তাহ চোটের জন্য খেলতে পারিনি। এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে হবে। আমরা তৈরি আছি ইস্টবেঙ্গলের জন্য।”
মোহনবাগান সমর্থকদের উল্লাসধ্বনির মধ্যে বারবার উঠে আসছিল পরবর্তী ডার্বির কথা, “এবার আমাদের লক্ষ্য ইস্টবেঙ্গল।” খেলা শুরুর আগেই মোহনবাগান সমর্থকরা জেনে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল জামশেদপুর ম্যাচের ফলাফল। তবুও মাঠে ঢোকার সময় কোনও সবুজ মেরুন সমর্থক যদি ভুলেও বলে ফেলছেন, “ইস্টবেঙ্গল একেবারে লিগ টেবিলের তলায় চলে গেল।” ততক্ষণাৎ অন্য আরেক সমর্থককে বলতে শোনা গিয়েছে, “ওদের নিয়ে ভাবিস না এখন। এই ম্যাচটা আগে ভালো করে জিতি। তারপর পরের ডার্বি নিয়ে ভাবব।” সেই মহামেডান ম্যাচটা সত্যি দারুণ ভাবে জিতল ম্যাকলারেনরা। এবার পরের ডার্বিতে নামার আগে যেন প্রতিপক্ষকে বার্তা দিয়ে দিলেন, সময়টা খারাপ ছিল ঠিকই, তবে সেটা সাময়িক।