স্টাফ রিপোর্টার: পেশাদারিত্বের ছোঁয়ায় স্থানীয় ক্রিকেটে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে মোহনবাগান (Mohun Bagan)। গত মরশুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে চরম ব্যর্থ হয়েছিল সবুজ-মেরুন শিবির। সেই ব্যর্থতা ঘোচাতে সচিব দেবাশিস (Debasis Dutta) দত্তের হাত ধরে নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে মোহনবাগান। স্বপ্নপূরণের প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে নতুন মরশুমে মোহনবাগান এবার তাদের ক্রিকেট দলের কোচ করল দীর্ঘদিন ইস্টবেঙ্গলের কোচের দায়িত্বে থাকা প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রণব নন্দীকে (Pranob Nandi)। প্রণব এর আগে মোহনবাগানে দীর্ঘ ২১ বছর খেলেছেন। পরে তিনি কোচ হিসাবে যোগ দেন ইস্টবেঙ্গলে। ১৮ বছর ধরে লাল-হলুদের কোচের দায়িত্বে থাকার পর দলবদল ঘটল তাঁর।
হঠাৎ কেন লাল-হলুদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন, এর জবাবে শনিবার মোহনবাগান তাঁবুতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রণব বলেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ছাড়ার প্রধান কারণ, ওখানে সিস্টেম বা পরিকঠামো ভেঙে পড়ছে। আমার অর্থের প্রতি কোনও মোহ নেই। আমি সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে চলার চেষ্টা করি। ইস্টবেঙ্গলে এই সিস্টেমটাই ভেঙে যাচ্ছে।’’ প্রণবের সঙ্গে মোহনবাগানের তিন বছরের চুক্তি হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ফের বাংলার সঙ্গে কাশ্মীরের তুলনা! যোগীর সুর এবার স্মৃতি ইরানির গলায়]
সবুজ মেরুনের নতুন ক্রিকেট কোচ বলেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গলের প্রতি রাগ-অভিমান কিছু নেই। কোনও ঝামেলাও হয়নি। আমি ইস্টবেঙ্গল ছাড়তে পারি, একথা হয়তো মোহনবাগান জানতে পেরেছিল। সচিব দেবাশিস দত্ত আমাকে ফোন করেন। প্রথমেই আমি নিজের শর্তের কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দেবাশিস দত্ত তার আগেই তাঁর পরিকল্পনার কথা আমাকে বলেন। যা আমার ভাবনার সঙ্গে মিলে গিয়েছিল। সেই কারণে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করিনি।’’
[আরও পড়ুন: ‘জম্মু ও কাশ্মীরের সব স্কুল-কলেজের নামকরণ হবে শহিদদের নামে’, ঘোষণা লেফটেন্যান্ট গভর্নরের]
মোহনবাগানের ক্রিকেট দলের মেন্টর হিসাবে দায়িত্ব রয়েছেন প্রণবের দাদা পলাশ নন্দী। তিনিও এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। দুই ভাই ক্রিকেট টিমের কোচিং মঞ্চে তুলে এক বিরল নজির তৈরি করল মোহনবাগান। স্থানীয় ক্রিকেটে ক্রিকেটারদের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বিরল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল মোহনবাগান। ক্লাব সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘‘আমি খুব বেশিদিন ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হইনি। কিন্তু যুক্ত হওয়ার পরই দেখতে পেলাম ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোনও লিখিত চুক্তি হয় না। সবই মৌখিক। তাই এবার থেকে আমরা ফুটবলারদের মতো ক্রিকেটারদের সঙ্গেও লিখিত চুক্তির পথে হাঁটব। জানি না, ময়দানের অন্য ক্লাবগুলি ক্রিকেটারদের সঙ্গে লিখিত চুক্তি করে কি না। যদি না করে, তা হলে আশা করব, বাকি ক্লাবগুলি ক্রিকেটারদের সঙ্গে এবার থেকে লিখিত চুক্তি করবে।’’ এদিন মোহনবাগানে সই করেন বাংলার ক্রিকেট অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। মোহনবাগান সচিব বলেন, ‘‘আমাদের সকলের স্বপ্ন বাংলা যেন রনজি ট্রফিতে (Ranji Trophy) চ্যাম্পিয়ন হয়। সেই স্বপ্ন সফল করতে হলে স্থানীয় ক্রিকেটের পরিকাঠামোর উন্নয়ন জরুরি। তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ক্রিকেটারদের সঙ্গে চুক্তি। তবে তা মোটেই মৌখিক নয়, লিখিত। আশাকরি, সিএবিও (CAB) এই বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেবে।’’