স্টাফ রিপোর্টার: তাঁর চোটের জন্যই হারতে হয়েছে ডার্বি। ম্যাচের আগে হঠাৎ ইউটা কিনোয়াকির সরে যাওয়ার জন্যই ভেস্তে যায় খালিদ জামিলের যাবতীয় পরিকল্পনা। প্রকাশ্যে না বললেও মোহনবাগান অন্দরমহলে শেষ দিন দশেক এই ছিল চায়ে পে চর্চার অন্যতম প্রধান বিষয়। সঙ্গে অবশ্যই ইউটা-সহ তিন বিদেশির বিশৃঙ্খল ব্যক্তিগত জীবন। তবু তাঁদের সময় দিতে চেয়েছিল ক্লাব। বারবার বিভিন্ন উপায়ে ইউটা, ডিকা, কিংসলের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করেছেন কর্তারা। উদ্দেশ্য ছিল, ভুল বুঝতে পেরে যদি নিজে থেকেই শুধরে যান তাঁরা। কিন্তু তা তো হয়ইনি। উল্টে বড় ম্যাচের পর প্রথমে গোকুলাম, পরে চার্চিল ম্যাচ থেকেও চোটের অজুহাতে ইউটা নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায় ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে কর্তাদের। ফলে ইউটাকে শোকজ করছে মোহনবাগান।
[চ্যাম্পিয়নশিপ ছাড়া অন্য কিছু ভাবছি না, নেরোকা ম্যাচের আগে প্রত্যয়ী আলেজান্দ্রো]
শনিবার চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ মোহনবাগানের। মঙ্গলবার যারা শিলং লাজংয়ের কাছে হারায় সুপার কাপে সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করার লক্ষ্যে অনেকটা অক্সিজেন পেল গঙ্গাপারের ক্লাব। এবার নিজেদের কাজ করে লিগ তালিকায় যতটা সম্ভব উপরে শেষ করতে চাইছে তাঁরা। সেই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকালে গোয়া উড়ে গিয়েছে দল। গোকুলামের বিরুদ্ধে খেলা আঠারোজনের দলে তিনটি পরিবর্তন এনেছেন খালিদ। গোলরক্ষক শঙ্কর রায়, শিল্টন ডি’সিলভা ও অনূর্ধ্ব ২২ জোয়াভার বদলে দলে এলেন গোলরক্ষক রিকার্ডো, বিক্রমজিৎ সিং ও অনূর্ধ্ব ২২ আমে রানাওয়াডে।
[জোড়া গোলে জয়, প্লে-অফের দৌড়ে এটিকে]
লিগের বাকি ম্যাচের জন্য ফোকাস ধরে রাখার সঙ্গে মোহনবাগানে এখন আলোচনায় তিন বিদেশির বিশৃঙ্খল জীবনও। চুক্তি সংক্রান্ত জটিলতায় সেকেন্ড উইন্ডোতে তাঁদের বাদ দেওয়া যায়নি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, হাত গুটিয়ে বসে থাকছে ক্লাব। যা পরিস্থিতি, তাতে ডিকা, কিংসলে আরও কিছুটা সুযোগ পেলেও বাকি মরশুম হয়তো মাঠে নামা নাও হতে পারে ইউটার। তবে তিনি অবশ্য এখনও সাফাই গেয়ে যাচ্ছেন। এদিনও প্র্যাকটিসের পর বলেন তাঁর চোট সত্যিই গুরুতর। ডার্বির তিনদিন আগেই নাকি চোট পান তিনি। সেই নিয়েই চেষ্টা করেছিলেন খেলার। তবে ম্যাচের আগে হঠাৎ করেই আবার লেগে যাওয়ায় খেলতে পারেননি। “ক্লাবের প্রতি আমার সততা, দায়বদ্ধতা নিয়ে সতীর্থ, কোচ কারও কোনও সন্দেহ নেই। সবাই জানে আমার চোট আছে। তা ঠিক করতে রিহ্যাবও করে যাচ্ছি। আর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যা রটছে, পুরোটাই ভিত্তিহীন। কখনও ব্যক্তিগত আর পেশাগত জীবন গুলিয়ে ফেলি না।” বলছিলেন ইউটা। ইউটা যতই সাফাই গাইতে যান, তাঁর ভবিষ্যৎ প্রায় লেখা হয়ে গিয়েছে। বাকিটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
The post ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে কর্তাদের, ইউটাকে শোকজ করছে মোহনবাগান appeared first on Sangbad Pratidin.