স্টাফ রিপোর্টার: দুসপ্তাহের মধ্যে বকেয়া ৫৫ লক্ষ টাকা না দিলে আদালতে গিয়ে আইএফএ-র (IFA) বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার নেওয়ার হুমকি দিল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। আইএফএ-কে পাঠানো এই পত্রবোমায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হল, এতদিন ধরে ক্লাবের বকেয়া টাকার চিঠিতে সই করতেন সচিব দেবাশিস দত্ত। এবার ক্লাবের বকেয়া অর্থ চেয়ে চিঠি দিলেন মোহনবাগান ফুটবল দলের অন্যতম ডিরেক্টর বিনয় চোপড়া। তবে এই বকেয়া অর্থ চাওয়ার বিষয়টি এসেছে অন্য প্রসঙ্গে।
কলকাতা লিগে ডার্বি ম্যাচে নির্দিষ্ট দিনে মাঠে ছিল না মোহনবাগান। স্বাভাবিকভাবেই ইস্টবেঙ্গলকে তিন পয়েন্ট দিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি আইএফএ-র সংবিধানের ১২ ( আই) ধারা উল্লেখ করে মোহনবাগানের অর্জিত পয়েন্ট থেকে মোহনবাগানের দু পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয়েছে। আর এতেই আপত্তি জানিয়েছে মোহনবাগান। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, শেষ মুহূর্তে খেলতে অস্বীকার করায় ভবানীপুরেরও চার পয়েন্ট কেটে নিয়েছে আইএফএ।
[আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হতশ্রী হারের পরে ভারতের তীব্র সমালোচনায় ভন, কী বললেন তিনি?]
এদিন বিনয় চোপড়া আইএফএ-কে চিঠি দিয়ে বলেন, সংবাদমাধ্যম থেকে তারা জেনেছেন, মোহনবাগানের দুপয়েন্ট কেটে নেওয়া হয়েছে ডার্বি ম্যাচ না খেলার জন্য। কোন আইনের ভিত্তিতে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জানতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে মোহনবাগান আইএফএ-কে দেওয়া চিঠিতে জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত লিগে খিদিরপুর ও ডায়মন্ডহারবার এফসির বিরুদ্ধে তাদের ম্যাচ খেলা হয়নি। অথচ আইএফএ থেকে এই ব্যাপারে কিছু জানানোই হয়নি মোহনবাগান ক্লাবকে। এদিকে লিগ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়েও পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়েছে মোহনবাগান।
বিনয় চোপড়ার বকেয়া টাকার চিঠি পেয়ে আইএফ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেন, “মোহনবাগানের বকেয়া টাকা আমার সচিব হওয়ার অনেক আগের থেকেই পড়ে রয়েছে। আমার সচিব হওয়ার আগে তাদের এই উদ্যোগ কেন দেখা যায়নি জানি না। তবুও তো সচিবের পদে বসে ১২ লক্ষ টাকা আমি মিটিয়েছি। ওরা যেহেতু আইনানুগ পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছে, আমিও আইএফএ-র আইনজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করেই এর উত্তর দিতে পারব।” আর মোহনবাগানের দু পয়েন্ট কেটে নেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ যা হয়েছে তা সংবিধান মেনেই হয়েছে। সংবিধানের ১২ (আই) রুল দেখলেই পরিষ্কার বুঝতে পারবেন।” কিন্তু ডায়মন্ডহারবার এবং খিদিরপুরের ক্রীড়াসূচির কথা কেন জানানো হয়নি?
অনির্বাণ দত্ত বলেন, “এই দুটি ক্লাব অনেক আগেই চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয় তারা কলকাতা লিগে আর ম্যাচ খেলবে না, তাই তাদের ক্রীড়াসূচিতেই রাখা হয়নি।” না খেলার জন্য মোহনবাগান এবং ভবানীপুরের পয়েন্ট কাটা হলেও ডায়মন্ড হারবার এবং খিদিরপুরের পয়েন্ট না কাটার ব্যাখ্যা দেন, “ডায়মন্ডহারবার এবং খিদিরপুর অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছিল তারা খেলবে না। সেক্ষেত্রে ভবানীপুর জানিয়েছে ম্যাচের আগেরদিন বেশি রাতে। যখন ম্যাচের আয়োজন আমাদের সম্পূর্ণ আর মোহনবাগান না খেলা নিয়ে কিছুই জানায় নি। তাই সংবিধান মেনে পয়েন্ট কাটতে হয়েছে।”