স্টাফ রিপোর্টার: মানুষের সমস্যায় বরাবর এভাবেই পাশে দাঁড়িয়েছে মোহনবাগান (Mohun Bagan)। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের পাশে থাকার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট এমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ডে ২০ লক্ষ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন মোহনবাগান কর্তারা। এদিন রাতে মোহনবাগানের সরকারি ওয়েবসাইটে মুখ্যামন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সাহায্য করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।
করোনা ভাইরাস যেভাবে ধীরে ধীরে বাড়ছে, তাতে অন্য সবার মতো চিন্তিত হয়ে পড়েছে মোহনবাগান ক্লাবও। বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থা নিজেদের মতো করে এই বিপদের সময় অসহায় মানুষদের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন। মোহনবাগান কর্তারা ঠিক করেন, এই বিপদের সময় অসহায় মানুষদের সেবার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর হাত আরও শক্ত করবেন। তাই ২০ লক্ষ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি সবুজ-মেরুন কর্তাদের আশা, এরপর অন্যান্য ক্লাবও মুখ্যমন্ত্রীর এমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ডে সাহায্য করে করোনা বিরোধী লড়াইয়ে পাশে থাকবেন।
ক্লাবের পাশাপাশি এগিয়ে এসেছেন ফুটবলাররাও। লিগ জয়ের নায়ক ফ্রান গঞ্জালেজ এক ভিডিও বার্তায় সমর্থকদের ঘরে থাকতে অনুরোধ করেছেন। তিনি বলছেন, “আপানারা জানেন গোটা বিশ্বে কি পরিস্থিতি হয়েছে। এই অবস্থায় সবাই ঘরে থাকুন, সুরক্ষিত থাকুন। আমি জানি লিগ জয় নিয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠতে ইচ্ছে করে সবার। এটা মিটলেই আমরা উচ্ছ্বাস করব। আপনাদের সকলের উপস্থিতি সেখানে প্রয়োজন। “
[আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে পিছিয়েছে অলিম্পিক, লোকসান অন্তত ২০ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা]
সিএবি আগেই রাজ্যের আপৎকালীন ফাণ্ডে ২৫ লাখ দিয়েছে। আর শুধু সিএবি নয়, সিএবির ক্লাবগুলোও এবার লড়াইয়ে নেমে পড়েছে। শুক্রবার সিএবির অধীনস্থ দুই ক্লাব টালিগঞ্জ আর মোহনলাল ক্লাবের তরফ থেকে ফান্ডে এক লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। সিসিবি পঞ্চাশ হাজার দেবে। ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি দশ হাজার।এছাড়াও সিএবির টুর্নামেন্ট কমিটির মেম্বার দীপাংশু ঘোষাল দিচ্ছেন এক লাখ। একই লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে ইডেন কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় প্রত্যেকেই।
[আরও পড়ুন: ‘ঘরে থাকলেই আপনি দেশের হিরো’, লকডাউনের সমর্থনে অনুরাগীদের বার্তা শামির]
প্রাক্তন বঙ্গ অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা আর সুজন মুখোপাধ্যায়ের ময়দানের সব মালিদের চাল আর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস দিলেন। এছাড়াও লক্ষ্মী আপৎকালীন ফান্ডে নিজের তিন মাসের বিধায়কের বেতন আর তিন মাসের বিসিসিআই থেকে প্রাপ্ত পেনশন দেবেন। ইডেন কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ও সিএবিকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর এক মাসের মাইনে যেন ফান্ডে দেওয়া হয়। একইভাবে লড়াইয়ে নামলেন এক প্রাক্তন বঙ্গ ক্রিকেটার তথা সিনিয়র মহিলা বাংলা টিমের কোচ শিবশঙ্কর পাল। তিনিও এমার্জেন্সি ফান্ডে পঁচিশ হাজার টাকা সাহায্য করছেন। শিবশঙ্কর সিএবিকে জানিয়ে দেন, তাঁর মাইনে থেকে যেন ওই টাকা কেটে সেটা এমার্জেন্সি ফান্ডে দিয়ে দেওয়া হয়। সিএবির আর এক কিউরেটর গৌতম সুরও পঞ্চাশ হাজার দেবেন।
The post করোনা রুখতে ২০ লক্ষ টাকা অনুদান মোহনবাগানের, এগিয়ে এল বাংলার ক্রিকেট মহলও appeared first on Sangbad Pratidin.