স্টাফ রিপোর্টার: সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে চিঠি দিচ্ছে মোহনবাগান। শনিবার ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভায় সভ্যদের কাছ থেকে ক্লাব কর্তাদের কাছে প্রস্তাব আসে, ভবিষ্যতে ক্লাব ট্রফি জিতলে সেই ট্রফি যেন সবুজ-মেরুন তাঁবুতে আরও বেশিদিন রাখার ব্যবস্থা করা হয়। আইএসএল (ISL) জিতেও ক্লাব তাঁবুতে বেশি দিন ট্রফি দেখতে পারেননি বলেও কেউ কেউ আক্ষেপ করেন। সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় নামের এক সদস্য (কার্ড নম্বর ও ৪৩৩) প্রস্তাব দেন, ট্রফি যাতে আরও বেশিদিন ক্লাবে রাখা যায় তার ব্যবস্থা করুন ক্লাব কর্তারা। সভায় উপস্থিত ক্লাব সচিব দেবাশিস দত্ত তাঁদের আশ্বাস দিয়ে জানান, এই বিষয়ে লিখিত আকারে সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে (Sanjeev Goenka) চিঠি দিচ্ছেন তাঁরা।
এদিন বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের দুই সহ-সভাপতি কুণাল ঘোষ, সৌমিক বোস, ফুটবল সচিব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, সহকারী সচিব সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, কর্তা মানস ভট্টাচার্য-সহ কার্যকরী সমিতির সদস্যরা। আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মোহনবাগান (Mohun Bagan) নামের আগে থেকে ‘এটিকে’ সরে যাওয়ার জন্য বর্তমান কমিটিকে ধন্যবাদ দেওয়া হয় সভার শুরুতেই। একই সঙ্গে সল্টলেক স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে যাওয়ার সময় সমর্থকদের যে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তা-ও শোনা হয় সভ্যদের কাছ থেকে। সভা শেষে সভ্যদের জন্য ক্লাব লনেই বিশাল জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল আইএসএলে মোহনবাগান-নর্থইস্ট ইউনাইটেডের ম্যাচটি দেখার জন্য।
[আরও পড়ুন: মায়ের কোল থেকে সন্তানকে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ, সন্দেশখালিতে রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন]
সভা শেষে ক্লাব সচিব দেবাশিস দত্ত (Debasish Dutta) বলেন, “সভ্যদের একটা দাবি রয়েছে, কোনও প্রতিযোগিতা জিতলে যে ট্রফিটা পাব সেই ট্রফিটা যেন আমাদের টেন্টেই থাকে। আইএসএল ট্রফিটার প্রসঙ্গও এসেছে। আমি ওঁদের এই আবেগের বিষয়টা মিস্টার গোয়েঙ্কাকে জানাব। শুধু আইএসএল ট্রফি নয়, যে কোনও ট্রফি জিতি সেই ট্রফি অন্তত কিছুদিনের জন্য যাতে রাখা যায়। আশা করি উনি বুঝবেন।” এদিন বার্ষিক সাধারণ সভায় ক্লাব সভাপতি স্বপনসাধন বোস উপস্থিত ছিলেন না। সভাপতির অনুপস্থিতির কারণ হিসাবে সচিব বলেন, “সভাপতি খুবই অসুস্থ, তাই আজ আসতে পারেননি।”
[আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে সভা পিছিয়ে দিল তৃণমূল, স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে দুই মন্ত্রী]
একইসঙ্গে জানানো হয়, শীঘ্রই আসতে চলেছে মোহনবাগান ক্লাবের নিজস্ব অ্যাপ। সচিব বলেন, “মোহনবাগান অ্যাপ নিয়ে কাজ চলছে। দ্রুত বাজারে আসবে।” সভ্যদের সামনে তুলে ধরা হয় সংগ্রহশালার বিষয়টি। যা দ্রুত শুরু করতে চায় মোহনবাগান। স্থান নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, সমর্থকদের খেলা দেখতে গিয়ে পুলিশি চেকিংয়ের নামে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাঁদের, সেই নিয়েও বিধাননগর পুলিশের সঙ্গে কথা বলা হবে ক্লাবের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি সভায় সিদ্ধান্ত হয়, মোহনবাগান ক্লাবে কখনও পানশালা হবে না।