সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এএফসি কাপে দুদ্দাড়িয়ে শুরু করল মোহনবাগান। কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে খেলাটা ছিল দুই স্পেনীয়র মগজাস্ত্রের লড়াই। দিনের শেষে শেষ হাসি তোলা থাকল মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দোর জন্য। কলিঙ্গ যুদ্ধে মোহনবাগান ৪-০ গোলে হারাল ওড়িশাকে। অসহায় ভাবে আত্মসমর্পণ করল সের্জিও লোবেরার ওড়িশা এফসি।
রসগোল্লা নিয়ে বঙ্গ-কলিঙ্গের লড়াই দীর্ঘদিনের। এদিন মোহনবাগান-ওড়িশা ম্যাচে সেই লড়াই আরও একবার ফুটে উঠল ফুটবল মাঠে। মোহনবাগান গ্যালারিতে দেখা গেল ওড়িশাকে খোঁচা দেওয়া টিফো। লেখা ছিল, রসগোল্লা কিন্তু আমাদের, বুঝলে ভায়া। রসগোল্লা আসলে বাংলারই। ম্যাচটাও নিয়ে গেল বাংলার মোহনবাগানই।
[আরও পড়ুন: চিনের কাছে পাঁচ গোলে ধরাশায়ী ভারত, হার দিয়ে এশিয়ান গেমস শুরু সুনীলদের]
ডুরান্ড কাপের ফাইনালে দিমিত্রি পেত্রাতোসের গোলে মোহনবাগান হারিয়েছিল ইস্টবঙ্গলকে। সেই ফাইনালে যেখানে শেষ করেছিলেন অজি তারকা, এদিন যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন দিমিত্রি। এদিন এএফসি কাপে জোড়া গোল করলেন পেত্রাতোস।
প্রথমার্ধের শেষের দিকে লাল কার্ড দেখেন মোর্তাদা ফল। দশ জনে নেমে যায় ওড়িশা। গোটা দ্বিতীয়ার্ধ নিউমেরিক্যাল অ্যাডভান্টেজের সুবিধা পায় সবুজ-মেরুন শিবির। প্রথমার্ধে কোনও দলই অবশ্য গোল করতে পারেনি। যদিও সাহালকে গোলর গন্ধ মাখা বল বাড়িয়েছিলেন হুগো বুমো। বেশিক্ষণ বল পায়ে রাখতে গিয়ে সেইযাত্রায় সুযোগ হাতছাড়া করেন সাহাল। দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগান জ্বলে উঠল। প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ নষ্ট করার প্রায়শ্চিত্ত দ্বিতীয়ার্ধে করলেন সাহাল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন তিনিই। বক্সের উপর থেকে নেওয়া সাহালের শট জাল কাঁপিয়ে দেয় ওড়িশার। গোলকিপার অমরিন্দর নড়ার সুযোগ পর্যন্ত পাননি। দ্বিতীয় গোলটির পিছনেও কিছুটা হলেও অবদান ছিল সাহালের। বৃষ্টির জন্য মাঠ হয়ে গিয়েছিল পিচ্ছিল। সাহালের জোরালো শট অমরিন্দরের হাত থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসে। ফাঁকায় দাঁড়ানো দিমিত্রি পেত্রাতোস ২-০ করেন। পরিবর্ত হিসেবে নামা লিস্টন কোলাসো হাসতে হাসতে ৩-০ করেন। খেলার বয়স তখন ৭৯ মিনিট। তার ঠিক তিন মিনিট পরেই পেত্রাতোস ফের গোল করেন।
এই ওড়িশা দলে একাধিক ফুটবলার অতীতে মোহনবাগানের হয়ে খেলেছেন। অমরিন্দর, লেনি, রয় কৃষ্ণ। কিন্তু কেউই ছাপ ফেলতে পারেননি। দাপটের সঙ্গে ম্যাচ জিতে নিল মোহনবাগান।