জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: আর জি কর কাণ্ডের মাঝেই মহিলাদের মারধর, শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। আহত দুই মহিলা লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বাগদা থানার সিন্দ্রানি গ্রাম পঞ্চায়েত নতুনপাড়া এলাকায়। শুরু হয়েছে তদন্ত।
অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যর নাম বিজয় বাইন। সিন্দ্রানি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। আক্রান্ত মহিলারা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত জমি দেওয়ার জন্য ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। তার পর দুবছর কেটে গেলেও তিনি জমি দেন না। টাকাও ফেরত দেননি। শুক্রবার রাতে তাঁর কাছে টাকা চাইতে গিয়েছিলেন মহিলা। অভিযোগ, শনিবার সকালে লোকজন নিয়ে বিজয় ওই মহিলার উপর চড়াও হয়। বেধড়ক মারধর করে জামাকাপড় ছিঁড়ে দেয়। ঠেকাতে গেলে তাঁর দিদি ও বোনকেও বেধড়ক মারধর করা হয়।
[আরও পড়ুন: এক ঘণ্টাতেই সব শেষ! বাড়ি থেকে বেরতেই ‘খুন’ যুবক, সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার দেহ]
মহিলার বক্তব্য,"আমি অসহায় বিধবা। দুবছর ধরে আমার টাকা দিচ্ছে না। আমি টাকা ফেরত চাওয়ায় টাকা দিতে অস্বীকার করে। প্রতিবাদ করেছিলাম তাই বাড়িতে লোকজন নিয়ে এসে আমাকে, আমার বোন ও দিদিকে বেধড়ক মারধর করে। দিদির পেটে লাথি মারে। জামাকাপড় ছিড়ে দেয়।" অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁর বক্তব্য, তৃণমূলের লোকেরা মহিলাদের এই সমস্ত অভিযোগ করতে থানায় পাঠাচ্ছে।
সিন্দ্রানি অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সৌমেন ঘোষ বলেন, "ওই মহিলারাও ওঁকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে টাকা ফেরত দিচ্ছে না। টাকা চেয়েছিল তাই বেধড়ক মারধর করে। ওর দিদি-বোনকেও মারধর করে। এটাই বিজেপির কালচার। অসহায় বিধবা মহিলা এখন পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে। " যদিও বিজেপির বনগাঁ সংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, "বিজেপির করলে বিজেপি নেতা হলে বা বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য হলে তাঁর নামে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির মামলা হবে এটাই স্বাভাবিক। তৃণমূল ওঁকে দলে নিতে পারছে না তাই চাপ দিয়ে এই সমস্ত করার চেষ্টা করছে।"