shono
Advertisement

আড়াই লক্ষ রোগীর টাকা উধাও! আর্থিক তছরুপের ঘটনায় শোরগোল আরজি কর হাসপাতালে

অন্তর্তদন্ত শুরু করেছে হাসপাতাল।
Posted: 10:16 PM Nov 27, 2020Updated: 10:20 PM Nov 27, 2020

অভিরূপ দাস: করোনা (Corona Pandemic) আবহে একদিকে রোগীর চাপ ভয়ংকর। তিল ধারণের জায়গা নেই হাসপাতালে। এমনই সময় সামনে এল সরকারি হাসপাতালে টাকা তছরুপের ঘটনা। আরজি কর হাসপাতাল (RG Kar Hospital) থেকে উধাও হয়ে গেল প্রায় আড়াই লক্ষ রোগীর টিকিটের টাকা। ঘটনায় হাসপাতালেই কর্মরত কিছু কর্মচারীকে সন্দেহ করা হচ্ছে।

Advertisement

শহর, শহরতলী থেকে প্রতিদিন কয়েকশো রোগী আসেন এই হাসপাতালে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ২ টাকা টিকিট কেটে বহির্বিভাগে দেখান তাঁরা। সেই হিসেবেই ধরা পড়েছে গরমিল। মার্চ মাস পর্যন্ত প্রায় আড়াই লক্ষ টিকিট বিক্রি হলেও সেই বাবদ ক্যাশে যে ৫ লক্ষ টাকা থাকার কথা তা বেমালুম উধাও হয়ে গিয়েছে৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই টাকা আদৌ জমাই পড়েনি হাসপাতালের ক্যাশ বিভাগে। সন্দেহ করা হচ্ছে, জরুরী বিভাগের কাউন্টারে যে কর্মচারী বসেন, তিনিই সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। হাসপাতাল সুপার মানস বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছেন এই তছরুপের কথা। তবে এই বিষয়ে অতিরিক্ত কিছু বলতে নারাজ তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই জরুরী বিভাগের কাউন্টারে কর্মরত এক কর্মচারীকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। কী বলা হয়েছে সেই নোটিসে?

[আরও পড়ুন: মিলল রেলের চূড়ান্ত ছাড়পত্র, আগামী সপ্তাহের শুরুতেই খুলে যাচ্ছে মাঝেরহাট ব্রিজ]

সুপার ওই কর্মচারীকে লিখিত নোটিসে জানিয়েছেন, “মার্চ মাস পর্যন্ত কাউন্টারে টিকিট বিক্রির ৫ লক্ষ টাকা জমা দেননি। এনিয়ে বহুবার আপনাকে টাকা জমা করার কথা বলা হয়েছে। এটা শেষ এবং ফাইনাল রিমাইন্ডার। আগামী ৭ দিনের মধ্যে টাকা জমা দিন। নয়তো কঠোর প্রশাসনিক এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সরকারী হাসপাতালে এর আগে চিকিৎসার নানান অভিযোগ উঠলেও রোগীর টিকিট বিক্রির টাকা উধাও হওয়ার ঘটনা বিরল। তাও আবার শহরের এমন নামী হাসপাতালে। এর পিছনে কোন কোন কর্মচারী জড়িত, তা জানতে অর্ন্ততদন্ত শুরু করেছে হাসপাতাল।

[আরও পড়ুন: শুভেন্দু পর্বের সমাপ্তি, ৫ নেতাকে বাড়তি দায়িত্ব দিয়ে একুশের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করলেন মমতা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement