সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চূড়ান্ত সাহসিকতা ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছিল থাইল্যান্ডের খুদে ফুটবলাররা। আজ, বুধবার থেকে সেই ফুটবলারদের ন’দিনের জন্য বৌদ্ধ মঠের ভিক্ষু হিসেবে দেখা যাবে। মঙ্গলবারই আনুষ্ঠানিকভাবে যার সূচনা হল।
থাইল্যান্ডের এক গুহায় গিয়ে আটকে পড়েছিল বারোজন খুদে ফুটবলারের একটি দল। আনন্দ আর অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় গিয়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল। টানা ১৫ দিন ওই গুহায় বন্দি, চলে জীবনের সঙ্গে লড়াই। কিন্তু হাল ছাড়েনি খুদেরা এবং তাদের কোচ। পরে সেনার পরিকল্পনায় তাদের উদ্ধার করা হয়। গুহা থেকে জল সরিয়ে, ডাইভাররা এক এক করে সব খুদে ফুটবলারকে উদ্ধার করে। মৃত্যুমুখ থেকে ঘরে ফিরেছিল তারা। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে বিরাট জয়কে সেই ফুটবলারদের লড়াকু স্পিরিটকে উৎসর্গ করেছিলেন ফ্রান্সের মিডফিল্ডার পল পোগবা। তাদের অকুতোভয় মানসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছে গোটা বিশ্ব। আর মৃত্যুমুখ থেকে ফেরা ফুটবলাররা এবার বুটজোড়া খুলে রেখে বৌদ্ধ ভিক্ষুর বেশ ধারণ করল।
[তীব্র অভিমানে বাংলার নেতৃত্ব ছাড়তে চান মনোজ]
ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলে কয়েকটা দিন বুদ্ধের নামে উৎসর্গ করবে তারা। খুদে ফুটবলারদের পরিবারের সদস্যরা এই প্রতিজ্ঞাই করেছিলেন। কথা মতো মঙ্গলবার প্রথা মেনে সাদা পোশাক গায়ে চাপায় তারা। মাথাও কামায়। সকালের প্রার্থনার সময় সঙ্গে ছিলেন তাদের কোচও। মোমবাতি জ্বালিয়ে বু্দ্ধের স্মরণ করেন তাঁরা। মি সাই জেলার চিয়াং রাইয়ের ওয়াট ফ্রা দ্যাট দই ওয়া মঠেই আগামী ন’দিনের জন্য মঠেই থাকবে তারা। কোচ বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং শিক্ষানবিশের ভূমিকায় থাকবে তাঁর শিষ্যরা। শুধুমাত্র খিস্টান ধর্মাবলম্বী আদুল স্যাম-অন এই ব্রত পালন করছে না। মঙ্গলবার তাদের বৌদ্ধ ভিক্ষু হওয়ার অনুষ্ঠান ফেসবুক লাইভেও ধরা পড়েছে। খুদেদের উদ্ধারকার্যে নেমে আর ঘরে ফেরা হয়নি এক উদ্ধারকারীর। তাঁকেও বিশেষভাবে স্মরণ করা হবে এ কদিন।
১১ থেকে ১৬ বছরের কিশোর ফুটবলাররা গত সপ্তাহেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পায়। তারপর পরিবার ও প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটায় তারা। নিজেদের রোমহর্ষক, ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা জানায় আত্মীয়-পরিজনদের। কিন্তু পরিবারের প্রতিজ্ঞা রক্ষা করতে ভোলেনি। সদিচ্ছাতেই বৌদ্ধ ভিক্ষু হয়েছে খুদেরা।
[১৯ সেপ্টেম্বর মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান, এশিয়া কাপের সূচি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন]
The post বুদ্ধই দেখিয়েছেন মুক্তির পথ, ৯ দিনের জন্য ভিক্ষুবেশে খুদে থাই ফুটবলাররা appeared first on Sangbad Pratidin.