নিরুফা খাতুন: ভারতের মূল ভূখণ্ড কেরলে ঢুকল বর্ষা (Monsoon)। নির্ধারিত সময় ১ জুন থেকে সাতদিন পর ৮ জুন কেরলের মাটি স্পর্শ করল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। ইতিমধ্যে সেখানে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এদিকে আরব সাগরেও ঘনীভূত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। যার প্রভাব পড়তে পারে কেরলের বর্ষাতেও। এমনই আশঙ্কা মৌসম ভবনের।
নির্ধারিত সময়ের বেশ খানিকটা পর কেরলে ঢুকেছে বর্ষা। প্রাক বর্ষার বৃষ্টিও চলছে। কিন্তু বাকি দেশ বিশেষ করে বাংলায় কবে ঢুকবে বর্ষা? হাওয়া অফিস বলছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে প্রবেশ করবে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। রবিবারের মধ্যে বাংলায় বর্ষা প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হবে। উত্তরবঙ্গ দিয়েই বর্ষা প্রবেশ করে বাংলায়।
[আরও পড়ুন: এবার ৪ বছরের স্নাতক পাঠক্রম কেরলে, ঘুরিয়ে জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে নিল বামেরাও!]
৭ জুন জলপাইগুড়িতে বর্ষা প্রবেশের সাধারণ দিনক্ষণ। শিলিগুড়িতে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করে ৮ জুন। আর দক্ষিণবঙ্গের কলকাতায় বর্ষা প্রবেশের স্বাভাবিক সময় ১১ জুন। তবে এক্ষেত্রে ১১ জুনের পর উত্তরবঙ্গ ও সিকিমে ঢুকতে পারে বর্ষা। হাওয়া অফিস বলছে, আগামী রবিবার কলকাতায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে-দুই মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনায়। ১৫ তারিখ থেকে বাড়বে বৃষ্টি। ভিজবে উত্তরের পাঁচ জেলাও। ১১ তারিখের পর সেই বৃষ্টি বাড়বে। তবে আপাতত তাপপ্রবাহ চলবে পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, দুই দিনাজপুর এবং মালদহে তাপপ্রবাহ চলবে। আপাতত আর্দ্র ও অস্বস্তিজনক আবহাওয়া চলবে কলকাতাতেও।
এদিকে এদিন সকালে আরব সাগরে ঘনীভূত হয়েছে ঘুর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। ক্রমশ উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে এগোবে বর্ষা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব গোয়ায় পড়বে না। বরং গুজরাটে এই ঝড়ের ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা।