সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের কোভিড গ্রাফে স্বস্তি। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৪ জন। যা আগের দিনের তুলনায় অনেকটা কম। এদিনও করোনায় মৃত্যুহীন রাজ্য।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার ভ্যাকসিন। সেকথা মাথায় রেখেই ১২-১৪ বছয় বয়সিদের কোভিড টিকাকরণ শুরু হয়েছে। তাদের বায়োলজিক্যাল ই-এর কর্বেভ্যাক্স দেওয়া হচ্ছে। কোভিশিল্ড, কোভ্যাকসিনের পর এবার এই কোভিড টিকারও দাম কমাল সংস্থা। জানা দিয়েছে, টিকার দাম ৮৪০ টাকা থেকে কমে হল ২৫০ টাকা। অর্থাৎ বেসরকারি টিকাকরণ কেন্দ্র থেকে জিএসটি সহ টিকার দাম পড়বে ২৫০ টাকা। তবে গ্রাহক পরিষেবা কর দিয়ে টিকা নিতে খরচ হবে মোট ৪০০ টাকা। এতদিন এই টিকা নিতে খরচ হত ৯৯০ টাকা।
রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন। তার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ লক্ষ ১৮ হাজার ৮৭৪। তবে ধারা বজায় রেখে এদিনও বাংলায় করোনা আক্রান্ত কেউই প্রাণ হারাননি। মৃত্যুহার কমে দাঁড়িয়েছে ১.০৫ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ২০৩ জনের।
[আরও পড়ুন: রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া দুর্গাপুরে, ছেলের পচাগলা দেহ আগলে বসে রইলেন বৃদ্ধা মা]
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩৯ জন। ফলে করোনাজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ লক্ষ ৯৭ হাজার ২৮০ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়াল ৯৮.৯৩ শতাংশ।
২০২০ সাল থেকে করোনার দাপটে ত্রস্ত দেশ। ব্যতিক্রম নয় বাংলাও। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা নিয়ন্ত্রণে রোগীকে শনাক্তকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই অনুযায়ী কারও সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেই পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিতেন চিকিৎসকেরা। সেই মতো এখনও চলছে পরীক্ষা নিরীক্ষা। একদিনে ৫ হাজার ৯৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ২ কোটি ৫১ লক্ষ ৭৮ হাজার ১৯৪ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। পজিটিভিটি রেট ০.২৭ শতাংশ।
ভাইরাস মোকাবিলায় টিকাকরণেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। একদিনে ৭ হাজার ৭৩১টি ডোজ দেওয়া হয়েছে। প্রিকশন ডোজও চলছে জোরকদমে। রাজ্যে মোট ২৬ লক্ষ ৯৬ হাজার ৮৩৩ প্রিকশন ডোজ দেওয়া হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতা নেওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞতা। মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ জোর।