সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় এক দশক আগে একনায়ক মুয়াম্মার গাদ্দাফির মৃতুর পর থেকে গৃহযুদ্ধে জর্জর লিবিয়া (Libya)। বিভিন্ন জেহাদি সংগঠন ও মিলিশিয়াগুলির মধ্যে লড়াইয়ে কার্যত নরকে পরিণত হয়েছে দেশটি। তারপর থেকেই প্রাণ বাঁচাতে সমুদ্রপথে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় ইউরোপের উদ্দেশে প্রায় প্রতিদিন রওনা হচ্ছেন শয়ে শয়ে মানুষ। বুধবার লিবিয়া উপকূলে এমনই এক নৌকা ডুবে গেলে মৃত্যু হয় অন্তত ১৩০ জন যাত্রীর।
[আরও পড়ুন: OMG! স্বামী নয়, ডিভোর্স মামলায় ছেলের কাছ থেকে মোটা টাকা পাচ্ছেন মহিলা!]
ফ্রান্সের সমাজসেবী সংগঠন ‘SOS Mediterranee’ জানিয়েছে, বুধবার উত্তাল ভূমধ্যসাগরে তিনটি নৌকো বিপদের মুখে পড়ে। খবর পেয়ে ৬ ফুট ঢেউয়ের উত্তাল সমুদ্রে বৃহস্পতিবার অভিযান চালায় ওই সংস্থা। লিবিয়ার ত্রিপলি উপকূল থেকে উত্তরপূর্বে আন্তর্জাতিক জলসীমায় সংস্থার নিজস্ব জাহাজ ‘Ocean Viking’-সহ তিনটি বাণিজ্যিক জাহাজ উদ্ধারকাজ চালায়। তবে ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল। ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ১০ মৃতদেহ চোখে পড়ে উদ্ধারকারী দলের। সেখানেই কেউ বেঁচে ছিল না। দারিদ্রতার কারণে এবং যুদ্ধ থেকে পালিয়ে উন্নত জীবনের আশায় লিবিয়া হয়ে প্রচুর শরণার্থী প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট নৌকায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে গ্রিস হয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। বিপদসঙ্কুল ওই পথ পাড়ি দিতে গিয়ে বহু শরণার্থীর সমুদ্রে ডুবে মৃত্যু হয়। এ বছরও ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে সাড়ে তিনশোর বেশি শরণার্থী মারা গেছে বলে জানায় SOS Mediterranee ।
উল্লেখ্য, ইউরোপ থেকে শুরু করে আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ, মালয়েশিয়া এমনকী ভারতেও মানবপাচার নতুন কোনও ঘটনা নয়৷ তবে লিবিয়ায় পরিস্থিতি খুব খারাপ। ইউরোপে আরামের জীবনের প্রলোভন আর ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে এভাবে জীবনের ঝুঁকি নিতেও পিছপা না হতদরিদ্র মানুষগুলো।২০১৯ সালে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশির মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। বেশি মুনাফার লোভে রাবারের পাতলা নৌকায় যাত্রী বোঝাই করে দেয় মানব পাচারকারীরা। ফলে সমুদ্রে অনেকসময়ই দুর্ঘটনার সবহিকর হয় সেগুলি। এদিকে, ইউরোপের দেশগুলি শরণার্থীদের অনুপ্রবেশ রুখতে বদ্ধপরিকর। ফলে মাঝসমুদ্রে মানুসগয়লিকে বিপাকে পড়তে হয়।