সুকুমার সরকার, ঢাকা: মানুষের রুচি বিচিত্র। বিভিন্ন সময়ে তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু, মৃতদেহের সঙ্গে যৌন সঙ্গমের ঘটনার কথা খুব কমই শোনা যায়। এবার সেই ঘটনাই ঘটল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে। সেখানে যুবতীদের মৃতদেহের সঙ্গে যৌন সঙ্গম করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হল সহকারী ডোম মুন্না ভগত (২০)। তাকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি (CID)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল হাসপাতালের (Shaheed Suhrawardy Medical College) Hospital মর্গে প্রধান ডোম জতন কুমার লালের ভাগনে হল মুন্না ভগত। মামার সঙ্গে সে ওই হাসপাতালের মর্গে সহকারী হিসেবে কাজ করত। অভিযোগ , এই সুযোগে সে দুই-তিন বছর ধরে মর্গে থাকা মৃত নারীদের ধর্ষণ করে আসছিল। এই বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তে নামে পুলিশ। আর প্রমাণ মিলতেই বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ফের বানচাল বড়সড় নাশকতার ছক, ধৃত ৪ JMB জঙ্গি]
কিছুদিন আগে ডিএনএ টেস্টের সময় ওই মর্গে থাকা যুবতীদের মৃতদেহে শুক্রাণুর উপস্থিতি পাওয়ার পর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। কেন, কী কারণে আত্মঘাতী যুবতীদের শরীরে শুক্রাণুর উপস্থিতি পাওয়া গেল তা নিয়ে শুরু হয় তদন্ত। তাতে জানা যায়, মর্গে থাকা একাধিক মৃত যুবতীর শরীর থেকেই একই ব্যক্তির শুক্রাণু পাওয়া গিয়েছে। পরে বোঝা যায়, মর্গের একজন ডোম দিনের পর দিন মৃত যুবতীদের মৃতদেহের সঙ্গে এমন বিকৃত কাজ করেছে। এখন পর্যন্ত অন্তত সাত জন মহিলার মৃতদেহে ওই ডোমের শুক্রাণু পাওয়া গিয়েছে।
এপ্রসঙ্গে, সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মহম্মদ রেজাউল হায়দার বলেন, ‘জঘন্যতম ও খুবই বিব্রতকর ঘটনা। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতার পরই ওই যুবককে আটক করেছে সিআইডি। বিভিন্ন স্থান থেকে যেসব লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হত। সেসব লাশের মধ্যে থেকে মৃত নারীদের ধর্ষণ করত মুন্না।’
তার বিরুদ্ধে মৃত নারীদের ধর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে মামা জতন লাল কুমার বলেন, ‘ভাগ্নে মুন্না মাঝে মধ্যে গাঁজা বা অন্য নেশা করত। কিন্তু, এরকম একটি কাজ সে করতে পারে, তা ভাবতেই পারছি না।’