সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ৫ মাসে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) কুনো জাতীয় উদ্যানে (Kuno national park) মারা গিয়েছে ৯টি চিতা। বুধবারই মৃত্যু হয়েছে ধাত্রী নামের এক স্ত্রী চিতার। স্বাভাবিক ভাবেই পরপর চিতামৃত্যুতে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। সম্প্রতি এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্টও। শীর্ষ আদালতে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রকে। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার চিতা বিশেষজ্ঞরা দু’টি চিঠি পাঠিয়ে এই বিষয়ে তাঁদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টকে। সেই চিঠিতে পরিষ্কার আঙুল তোলা হয়েছে কুনো জাতীয় উদ্যানের বর্তমান ম্যানেজমেন্টের দিকে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, নিযুক্ত পশু চিকিৎসকদের যোগ্যতা নিয়েও।
ঠিক কী দাবি করা হয়েছে ওই চিঠিগুলিতে? অভিযোগ, বিশেষজ্ঞরা যে পরামর্শ দিয়েছিলেন তা উপেক্ষা করা হয়েছে। বিশেষ করে চিতা প্রকল্পের প্রাক্তন প্রধান ওয়াই ভি ঝালার ইস্তফার পর থেকে। পাশাপাশি দাবি, অধিকাংশ পশু চিকিৎসক, যাঁরা এর সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা নেই। তাছাড়া যথাযথ বৈজ্ঞানিক প্রশিক্ষণও নেই চিতা দেখভালে নিযুক্ত কর্মীদের।
[আরও পড়ুন: নৃশংস! রাজস্থানে কিশোরীকে গণধর্ষণের পর খুন! ইটভাটায় মিলল পোড়া দেহাংশ]
এমনকী, চিতাগুলিকে (Cheetah) কীভাবে দেখভাল করা হচ্ছে, সেই পরিকাঠামোয় কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা সেই বিষয়েও তাঁদের কিছু জানানো হয়নি বলে বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা জানিয়েছেন, কেবল ভারতের জন্যই নয়, সারা বিশ্বের চিতা সংরক্ষণের জন্যই কুনোর মৃত্যুমিছিল রোখা দরকার। প্রসঙ্গত, এর আগে শীর্ষ আদালত মোদি সরকারকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল, দ্রুত পরিস্থিতির মোকাবিলায় সদর্থক পদক্ষেপ করার জন্য। এবার বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কায় আরও বাড়ল কুনো কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনেরও।