সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাসতে সবাই পারে, কিন্তু সারল্যের মুখে হাসি ফোঁটাতে কয়েকজনই পারেন৷ এই পারঙ্গমদের তালিকায় উপরের সারিতেই হামেশা থাকবে তাঁর নাম৷ জনি লিভার৷ নিছক কৌতুক অভিনেতার সংজ্ঞায় আবদ্ধ নেই এই নাম৷ বলিউডের ইতিহাসের এক অধ্যায় হিসেবে উচ্চারিত হয় আজও৷
অর্থের অভাবে ক্লাস সেভেনের বেশি পড়াশোনা করতে পারেননি৷ বাড়ির বড় ছেলে, তাই সংসারের দ্বায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হয়েছিল জনিকেই৷ রোজগারের সন্ধানে পেন বিক্রি করতেন মুম্বইয়ের রাস্তায়৷ অভিনব ছিল তাঁর বিক্রির আন্দাজ৷ বলিউড তারকাদের নকল করে বেচতেন একটার পর একটা পেন৷
নকলের এই দক্ষতাই তাঁকে নিয়ে এসেছিল স্ট্যান্ড আপ কমেডির মঞ্চে৷ বলিউডেও সমাদৃত হল সাম্ভর-রাইস খাওয়া তেলুগু লোকটার কদর৷ তিনশোরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন৷ বেশিরভাগ সময় নায়ককে ছাপিয়ে জয় করে নিয়েছেন দর্শকদের মন৷
ষাট ছুঁয়েও অবিচল হাস্যরসের এই ধারা৷ তবুও পর্দার চেনা মানুষটার আজও অনেকটাই অচেনা আমাদের কাছে৷ উনষাটতম জন্মদিনে রইল তারই কিছু সুলুকসন্ধান৷ চেনা জনি লিভারের কিছু অচেনা তথ্য৷
- রোজ সকালে উঠে নিয়ম করে ক্রসওয়ার্ডের ধাঁধার সমাধান করা অভ্যেস তাঁর৷
- পর্দায় যতই লোক হাসান৷ বাস্তব জীবনে বেশ কড়া বাবা জনি৷ বিশেষ করে নাকি নিজের মেয়ের ক্ষেত্রে৷
- বাবা হিন্দুস্থান লিভারে অপারেটরের কাজ করতেন৷ সেখানেই সমস্ত অফিসারদের নকল করে দেখাতেন জনি৷ সেই থেকেই জনি রাও হয়ে ওঠেন জনি লিভার৷
- শরীর চর্চা তাঁর একদম অপছন্দ৷ কিন্তু, এখনও স্টেজ শোয়ের দুই দিন আগে ভাত খাওয়া বন্ধ করে দেন৷
- খেতে ভীষণ ভালবাসেন জনি৷ সবচেয়ে পছন্দের খাবার সাম্ভর-রাইস৷ বিদেশে গেলেও দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের রেস্তোরাঁ খোঁজেন৷
- এখন মার্সিডিজ চালান৷ এটি তাঁর বড় পছন্দের গাড়ি৷ কারণ জীবনের অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এই স্টিয়ারিংটা হাতে পেয়েছেন৷
- সময় নিয়ে ভীষণ খুঁতখুঁতে জনি৷ কোথাও যাওয়ার থাকলে তিন ঘণ্টা আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু করে দেন৷ শুটিংয়ে আজও ঘণ্টা খানেক আগেই পৌঁছন৷ কারণ অভিনয় তাঁর কাছে আজও ‘সিরিয়াস বিজনেস’৷
The post মুম্বইয়ের রাস্তা থেকে বলিউডের মঞ্চে আজও অবিচল জনি appeared first on Sangbad Pratidin.