সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে (Bangladesh) অসহযোগ আন্দোলন। পদ্মাপারে ক্রমাগত বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। দেশজুড়ে কার্ফু। শাসকদল এবং পুলিশের সঙ্গে সম্মুখ সমরে আন্দোলনকারীরা। রক্ত ঝরছে বাংলাদেশে। এমতাবস্থায় সন্ত্রাস থামানোর কাতর আর্জি মোস্তাফা সরওয়ার ফারুকীর।
কোটার দাবি মেটার পরেও রক্ত ঝরছে পদ্মাপারে। শেখ হাসিনা সরকারের অপসারণ চেয়ে ফের রাস্তায় নেমেছে পড়ুয়া এবং যুবসমাজের একাংশ। যার জেরে আবারও অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। রবিবার সন্ধে পর্যন্ত বাংলাদেশের মৃত্যু হয়েছে ৭০ জনের। এদের মধ্যে ১৪ জন পুলিশ। বিভিন্ন জেলায় শাসকদল আওয়ামি লিগ এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান আন্দোলনকারীরা। তাতেই বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে জারি হয়েছে কার্ফু। আবারও বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। এমতাবস্থায় সন্ত্রাসবাদ বন্ধের আকুতি করলেন মোস্তাফা সরওয়ার ফারুকী।
পরিচালকের মন্তব্য, "সন্ত্রাস থামান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, আপনাদের কাজ যারাই সন্ত্রাস করছে, তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো! তা সে যে পক্ষেরই হোক। যার যে মত, সে সেই মত প্রকাশ করবে। সমাবেশ করবে। মিছিল করবে। কিন্তু পিস্তল দিয়ে, শট গান দিয়ে কোন জনমত প্রকাশ করা হচ্ছে? কালকে লাখ লাখ লোক সমাবেশ করল, দেশাত্মবোধক গান গাইল, আমরা তো তাদের কারও হাতে পিস্তল দূরের কথা, একটা লাঠিও দেখলাম না। আজকে কেন এই সন্ত্রাস? কেন ৪২টা (এখন পর্যন্ত হিসাব) লাশ পড়লো?" ফেসবুক পোস্টেই সতর্কবাণী দিলেন ফারুকী। তাঁর কথায়, "যারা মারছেন, মার দিতে দিতে সাধারণ জনতাকে এরকম সাহসী বানিয়ে দেবেন না, যে সে ঘুরে দাঁড়ায়! তখন যে অগ্নুৎপাত হবে সেটা কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। তার আগেই সন্ত্রাস থামান!"
[আরও পড়ুন: ২৫ লক্ষ না জেতায় ‘বিগ বস’ নির্মাতাদের তীব্র কটাক্ষ রণবীর শোরের! ‘আঙুল ফল টক’, শুনলেন পালটা]
এর আগে ছাত্র আন্দোলন নিয়ে মোস্তাফা সরওয়ার ফারুকী (Mostofa Sarwar Farooki) জানিয়েছিলেন, “বাংলাদেশে কী হচ্ছে? কেমন আছি আমরা? গোটা বিশ্ব থেকে বন্ধুরা ফোন করে খোঁজ নিচ্ছে। সকলে আমাদের নিয়ে এতটা উদ্বিগ্ন, তার জন্য ধন্যবাদ। খুব অল্প ভাষায় বলতে গেলে, ছাত্রদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ইতিহাসের এটা সবথেকে বড় গণ অভ্যুত্থান। সংবাদমাধ্যম দেখে যা বুঝতে পারছি, ব্যাপক হারে দুর্নীতি, বৈষম্য, ভিন্নমতের নানা হতাশার জন্য এটি প্রাথমিকভাবে কোটা সংস্কার আন্দোলন হিসেবে শুরু হয়েছিল। তবে সরকার কড়া হাতে এই আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে গিয়ে পরিস্থিতি আরও মারাত্মক হয়ে ওঠে। প্রথম আলো বলছে, একদিনে ২৭ জন ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এভাবে তরতাজা ২৭টি প্রাণ চলে গেল! সংবাদসংস্থা এএফপি অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা শতাধিক। সরকারের নির্দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় গোটা বিশ্ব থেকে ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এর আগে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে কিনা আমার মনে নেই। পাশাপাশি, এর থেকে সাহসী পড়ুয়া প্রজন্ম দেখেছি বলেও মনে পড়ছে না। বাংলাদেশ যেন তাড়াতাড়ি সেরে ওঠে, আপনারা সকলে এর জন্য আওয়াজ তুলুন। আর সরকার যেন ‘জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য, জনগণের পক্ষে’-এই মন্ত্রটা মনে রাখে।”