অর্ণব আইচ: মৃত্যু কখন কীভাবে কার জীবনে নেমে আসে, তা সত্যিই অজ্ঞাত। বিন্দুমাত্র আন্দাজ পর্যন্ত করা যায় না। যেমনটা ঘটল রবিবার সকালে, একবালপুরে (Ekbalpur)। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Electocuted) জামাইকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন শাশুড়ি। তাঁদের শক খেতে দেখে এগিয়ে যান মেয়ে। শেষমেশ বিদ্যুতের তীব্র প্রবাহে মৃত্যু (Death)হল মা-মেয়ের। অল্প শক খাওয়ায় প্রাণে বাঁচলেন জামাই। তবে জখম অবস্থায় তিনি স্থানীয় এক নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। এমন আকস্মিক দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় সিইএসসি-র একটি দল। কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রবিবার ঘড়িতে সকাল প্রায় ৭টা। ৩৭/২ডি, একবালপুর লেনের বাসিন্দা ইজহার আখতার। স্ত্রী খায়রুলন্নেসার সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন তিনি। এদিন সকালে নিজের বাড়ির দেওয়াল থেকে ঝুলতে থাকা একটি লোহার তারে ভিজে জামাকাপড় মেলতে যান ইজহার। তখনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। জামাইকে ওই অবস্থায় দেখে ছুটে যান বছর চৌষট্টির মুন্তাহা বেগম। তড়িদাহত হন তিনিও।
[আরও পড়ুন: ‘অভিষেকের গ্রেপ্তারি শুধু সময়ের অপেক্ষা’, বিস্ফোরক দাবি সুকান্তর, পালটা জবাব তৃণমূলের]
এরপর নিজের স্বামী ও মাকে বাঁচাতে ওই তারের কাছে যান খায়রুলন্নেসা। তাঁরই একই অবস্থা হয়। তাঁদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা জড়ো হন। কোনও রকমে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। ইজহারকে পাঠানো হয় স্থানীয় এক নার্সিংহোমে। মুন্তাহা বেগম ও খায়রুলন্নেসাকে পাঠানো হয় এসএসকেএমে (SSKM)। চিকিৎসকরা তাঁদের দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: কর্ণাটকের ধাক্কা, মধ্যপ্রদেশে কৃষকদের ঋণে সুদ মকুব অভিযান শুরু করছে বিজেপি]
ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে একবালপুর লেনে পৌঁছয় সিইএসসি-র (CESC)একটা দল। তাদের প্রাথমিক অনুমান, কোনওভাবে ওই লোহার তারে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হচ্ছিল, যা বোঝা যায়নি। এরপর তারটি ভিজে কাপড়ের সংস্পর্শে আসায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রসঙ্গত, খোলা তার নিয়ে একাধিকবার সিইএসসি-কে সতর্ক করা হয়েছে। কারণ, এসব তারই প্রাণঘাতী। কিন্তু তারপরও একবালপুরে তড়িদাহত হয়ে মা-মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় স্পষ্ট, সিইএসসি ততটা সতর্ক নয়।