সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিবন্ধী মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন মা। কোনও কুলকিনারা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত কন্যার গলা টিপে খুন করল মা। মেয়েকে হত্যার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন নিজেই। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের (Karnataka) বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru)। পুলিশের কাছে মহিলার দাবি, মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই তাকে খুন করেছেন তিনি।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার থানায় এসে এক মহিলা জানান, তিনি তাঁর সাড়ে তিন বছরের মেয়েকে খুন করেছেন। মহিলার দাবি, করেন তাঁর দুই মেয়ে। দুজনেই প্রতিবন্ধী। মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় ছিলেন তিনি। যার জেরেই এক মেয়েকে খুন করেন। পুলিশের (Police) দাবি, ওই মহিলার দুই সন্তানের মধ্যে এক জনের প্রতিবন্ধকতা বেশি ছিল। তাকেই গলা টিপে খুন করেন ওই মহিলা। তাঁর আর এক কন্যা তুলনামূলক কম প্রতিবন্ধী।
[আরও পড়ুন: ‘যেখানেই প্রচারে গেছেন সেখানেই জিতেছি’, মুচকি হাসিতে মোদিকে ‘ধন্যবাদ’ শরদের]
পুলিশের কাছে ওই মহিলার দাবি, দুই মেয়েই প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে দীর্ঘদিন ধরে অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। এক মেয়েকে প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও স্কুলে ভর্তি করানো গিয়েছে। অন্য জনকে স্কুলে ভর্তি করাও সম্ভব হয়নি। মেয়ের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত দুর্বিষহ হয়ে উঠবে আশঙ্কা করেই তাঁকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।
[আরও পড়ুন: ‘ইন্দিরা মাদার অফ ইন্ডিয়া’, মন্ত্রীপদে আপত্তির পর এবার কংগ্রেস প্রশস্তি বিজেপি সাংসদের মুখে]
এই ঘটনায় খুনের অপরাধে অভিযুক্ত ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মমলা রুজু করা হয়েছে। মেয়ের প্রতিবন্ধকতাই এই খুনের কারণ, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।