সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয়েছিল ঠিকই, তবে ভিন্ন পুরুষ ও মহিলার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত ছিল ছেলে-বউমা। এই ঘটনায় পারিবারিক অসম্মানের ভয়ে ছেলে ও বউমা দুজনকেই খুন করলেন মা! ভয়াবহ এই খুনের ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানের করৌলি জেলায়। খুনের ষড়যন্ত্রে মহিলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তার ভাই অর্থাৎ যুবকের মামা। তদন্তে নেমে ওই মহিলা, তাঁর ভাই ও ভাড়াতে খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বিয়ে হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের আগ্রার বাসিন্দা ২২ বছরের বিকাস ও ১৮ বছরের দীক্ষার। তবে বিয়ের পর থেকেই অন্য পুরুষ ও মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয় দুজন। বিষয়টি বিকাসের মায়ের নজরে পড়ে। দুজনকেই তিনি বার বার সতর্ক করেন এই ঘটনা না ঘটানোর জন্য। তবে মায়ের কথা কানে তোলেনি ছেলে-বউমা। বাড়ির মধ্যেই চলতে থাকে এই অবাধ যৌনতা। ঘটনার জেরে ভায়ের সঙ্গে মিলে পুত্র ও পুত্রবধূকে খুনের ষড়যন্ত্র করেন মা। সেই মতো ভাড়া করা হয় এক ড্রাইভারকে। পুলিশের দাবি অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার রাতে এক মন্দিরে পুজো দিয়ে ফেরার সময় বিকাস ও দীক্ষা দুজনকেই গুলি করে হত্যা করে মৃতের মামা ও ড্রাইভার।
এই মামলার তদন্তকারী অফিসার অনুজ শুভম বলেন, মামলার তদন্তে নেমে দফায় দফায় জেরা করা হয় মৃতের মা ললিতাকে। সেখানেই এই খুনের কথা স্বীকার করে নেন তিনি। মৃতের মায়ের বয়ান অনুযায়ী, দিনের পর দিন বাড়িতেই চলত পুত্র ও পুত্রবধূর এই অবৈধ যৌন সম্পর্ক। অন্য পুরুষ ও মহিলার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করত দুজন। বহুবার ধরাও পড়ে তারা। সতর্ক করা হলেও কাজ হয়নি। যার জেরে ললিতার আশঙ্কা ছিল, গ্রামের লোক যদি বিষয়টি জানতে পারে তাহলে তাঁদের গ্রামছাড়া করা হবে। এই আশঙ্কায় ভাই রামবরনের সঙ্গে মিলে দুজনকেই খুন করে মা।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, দুজনকে খুন করতে একটি পিস্তল ও একটি সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কেনে মৃতের মামা। ভাড়া করা হয় চমন খান নামে এক ড্রাইভারকে। খুনের উপযুক্ত জায়গা খুঁজতে দীর্ঘ দিন ধরে চালানো হয় রেইকি। দিন দশেক আগে গাড়ি দুর্ঘটনায় খুনের ছক করা হলেও তা ব্যর্থ হয়। এর পর ওই দম্পতিকে রাজস্থানের কৈলাদেবী মন্দিরে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন রামবরনের সেই মতো ২৯ অক্টোবর মন্দির থেকে ফেরার পথে মন্সলপুরের ভোজপুর গ্রামের কাছে গুলি করে খুন করা হয় দুজনকে।