সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠল রাজধানীতে৷ দুই সপ্তাহ আগে গৃহহীন মহিলার শিশুকন্যাকে দক্ষিণ দিল্লির বস্তি এলাকায় একটি ইনোভা গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হয়৷ সেই ঘটনার পর শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায় আরতি দেবীর ৭ বছরের মেয়ে শিবানীর৷ কিন্তু এতদিন কেটে গেলেও ওই গৃহহীন মহিলা কোনও সহযোগিতাই পাচ্ছেন না দিল্লি পুলিশের কাছ থেকে৷ এতদিন পরেও অধরা গাড়ি বা গাড়ির চালক৷ আরতি দেবী জানিয়েছেন, গাড়ির নম্বর পুলিশকে দেওয়া সত্ত্বেও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি৷ থানায় গিয়ে তিনবার বিষয়টির খোঁজ নেওয়ার পরেও পুলিশের দাবি, অভিযুক্তকে ধরার চেষ্টা চলছে৷ কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে কেউ মেয়েটিকে হাসপাতালে দেখতে যায়নি বা আরতি দেবীর বাড়িতে এসে কোন জিজ্ঞাসাবাদ করেনি৷
দিল্লির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, থানায় তাদের সামনেই আরতি দেবীকে পুলিশ জানায় যে গাড়ির কেবল শেষ চারটি নম্বর দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু আরতি দেবী তখনি তাদের কে আবার পুরো নম্বরটি দিয়ে দেন৷ এফআইআরে কোন প্রত্যক্ষদর্শীর নাম না থাকলেও ঘটনার দিন সেখানে উপস্থিত একজন মহিলা দাবি করেন, তিনি পুলিশকে গাড়ির নম্বর দিয়েছেন এবং সম্পূর্ণ ঘটনাটি জানান কিন্তু কোনওদিন পুলিশের পক্ষ থেকে তারপরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি৷ পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী, দিল্লিতে ৯৯৩টি এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে৷ তার মধ্যে অর্ধেকের কম অভিযুক্ত ধরা পড়েছে৷ কিন্তু পুলিশের এই রেকর্ডে এমন অনেক দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ নেই যাঁদের কে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতেই এত হেনস্থা সহ্য করতে হয়৷
আরেকটি ঘটনা ঘটে গত ১১ই আগস্ট দিল্লিতে৷ ৩১ বছরের মহেশ কুমারকে চাঁদনি চকে একটি গাড়ি ধাক্কা দেয়৷ যার ফলে তাঁর পায়ে আঘাত লাগে৷ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ ভর্তি না নিয়ে তাঁকে ওপিডি-তে দেখানোর নির্দেশ দেয় কিন্তু ওই বিভাগটি ছুটির দিন হওয়ায় সেদিন বন্ধ ছিল৷
দিল্লিতে প্রায় দেড় লক্ষ গৃহহীন মানুষের বসবাস৷পুলিশের দাবি, গাড়ি দুর্ঘটনার অভিযোগকে সমান গুরুত্ব দিয়েই দেখা হয়৷ যদিও রেকর্ড অন্য কথা বলছে৷
পুলিশ আধিকারিক তাজ হাসানের মতে, দু’ধরনের অভিযোগ আসে৷ গাড়ির নম্বর না থাকা অভিযোগগুলি নিয়ে পদক্ষেপ নিতে দেরী হলেও যেগুলিতে গাড়ির পুরো নম্বর উল্লেখ করা থাকে সত্বর পদক্ষেপ নেওয়া হয়৷