অর্ণব আইচ: ওয়াটগঞ্জের হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার দেওর। পারিবারিক ও আর্থিক বিষয় নিয়ে বউদির সঙ্গে অশান্তি লেগেই থাকততাঁর। অভিযোগ, খুনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে নীলাঞ্জন সরখেলের। বুধবার রাত পৌনে বারোটা নাগাদ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকে জেরা করেই নতুন নতুন তথ্য় উঠে আসছে।
পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, দুর্গা সরখেলের বাপেরবাড়ি পশ্চিম বন্দর এলাকায়। কয়েক বছর আগে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় ওয়াটগঞ্জের ওই যুবকের। কিন্তু বিয়ের পর থেকে মদের উপর আসক্তি তার বেড়ে যায়। তাই তাকে রিহ্যাবে পাঠানো হয়। এর পর থেকেই সংসারের দায়িত্ব সামলাতেন নীলাঞ্জন। পুলিশের দাবি, সংসার খরচ নিয়ে বউদি দুর্গার সঙ্গে তাঁর অশান্তি বেঁধেছিল। প্রায়শই পারিবারিক অশান্তি লেগে থাকত।
[আরও পড়ুন: কথায় কথায় ‘রগড়ে দেন’, ছেলেবেলায় তিনিই নাকি লাজুক ছিলেন, কেন বিয়ে করেননি দিলীপ ঘোষ?]
পুলিশের দাবি, দুর্গা সরখেল (৩০) নামে ওই মহিলার স্বামী মদ ও মাদকে আসক্ত। তাঁকে রিহ্যাবে পাঠানো হয়। গত সোমবার রিহ্যাব থেকে পালিয়ে ওয়াটগঞ্জে নিজের বাড়িতে চলে আসে সে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক। এদিকে মৃতার স্বামী খোঁজ করছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, একাধিক ব্যক্তি এই খুনের সঙ্গে জড়িত। খুনের পিছনে সম্পর্কে টানাপড়েন না কি অন্য কোনও কারণ রয়েছে?? তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ। ধৃত নীলাঞ্জন সার্কেলকে আলিপুর পুলিশ আদালতে পুলিশ লকাপে নিয়ে আসা হয়েছে।