সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের সংসদীয় এলাকার করোনা পরিস্থিতি কেমন, তা খতিয়ে দেখতে শনিবার বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (MP Abhishek Banerjee)। বৈঠক শেষে ডায়মন্ড হারবার এলাকার জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছেন তিনি। বেশকিছু নয়া উদ্যোগও নিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্যকর্তারাও। টিকাকরণের জন্য চ্যাট বট তার মধ্যে অন্যতম। এই পরিষেবার মাধ্যমে প্রান্তিক এলাকার বাসিন্দাদের দ্রুত টিকাকরণ সম্ভব বলেই মনে করেছেন চিকিৎসকমহল।
কী এই চ্যাট বট প্রক্রিয়া? কোভিড টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর কলকাতা পুরসভা এই প্রক্রিয়া ব্যবহার করেছিল কিছুদিন। যেখানে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে টিকাকরণের স্লট বুক করা যেত। নির্দিষ্ট নম্বরে মেসেজ করলে পছন্দমতো দিন-সময়, এমনকী কোন জায়গায় গিয়ে টিকা নেবেন, তাও হোয়াটসঅ্যাপেই বুক করা যায়। ১৫-১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণে গতি আনতে এই প্রক্রিয়া সাহায্য করবে বলেই দাবি স্বাস্থ্যকর্তাদের। ডায়মন্ড হারবার এলাকার বাসিন্দাদের জন্য শীঘ্রই এই পরিষেবা চালু করা হবে। এর পর গোটা জেলাতেও চালু হতে পারে এই ব্যবস্থা।
[আরও পড়ুন: মেলেনি প্রথম মেসেজের রিপ্লাই, ১১ বছর পর সেই ‘স্বপ্নসুন্দরীকে’ই বিয়ে করলেন চিকিৎসক]
বৈঠক শেষে জারি করা নির্দেশিকায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,
- ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবার এলাকায় কোনও রকম জমায়েত চলবে না। শুধু রাজনৈতিক জমায়েত নয়, করা যাবে না বড় কোনও পুজো বা ধর্মীয় জমায়েতও।
- বাজারে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের দুটো করে মাস্ক পরতেই হবে। প্রত্যেক বিক্রেতাকে সাতদিন পর্যবেক্ষণ করা হবে। তার পরেও নিয়ম না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অর্থাৎ ১৬ জানুয়ারি থেকে কড়া ব্যবস্থার নিদান।
- ব়্যাট টেস্টে জোর। প্রয়োজনে আশাকর্মীরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ব়্যাট টেস্ট করবেন। ১২ জানুয়ারি থেকে দৈনিক ৩০ হাজার কোভিড পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন সাংসদ।
- প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ওয়ার্ডে খোলা হবে কন্ট্রোল রুম।
- চালু হচ্ছে ‘ডক্টরস অন হুইলস’ পরিষেবা। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে একাধিক দল তৈরি হবে। হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের দেখভাল করবেন। প্রয়োজনে ফোনে তাঁদের পরামর্শ দেবেন।