দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সাংসদ হয়ে লোকসভায় পা রেখেই ফের চলে আসলেন বাংলায়। প্রথম সফরে ঘুরে গেলেন নিজের লোকসভা কেন্দ্র যাদবপুরের সোনারপুর উত্তর বিধানসভা এলাকা। এইসব এলাকায় থেমে যাওয়া কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কথা বলবেন কেন্দ্রের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে। এমনটাই জানান তিনি। দ্রুত সেগুলোর যাতে রূপায়ণ করা যায় তা নিয়েও কথা বলবেন বলে জানান যাদবপুর কেন্দ্রের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী।সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর কেন্দ্রের কোন কোন প্রকল্প নিয়ে তিনি দরবার করবেন এদিন তার রূপরেখা তৈরি করলেন এলাকায় ঘুরে ঘুরে। এমনকি সংসদে কোন বিষয় নিয়ে সোচ্চার হবেন তাও তিনি সরোজমিনে চিহ্নিত করে গেলেন। বাজার রাস্তাঘাট থেকে পানীয় জল প্রকল্প সবই খতিয়ে দেখলেন তিনি। বাদ গেল না কিছুই।
বুধবার বিকেলে সাংসদ মিমি চক্রবর্তী প্রথমে ঘুরে দেখেন গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন বাজার এলাকা। রেললাইনের পাশে জায়গায় গড়ে ওঠা এই বাজারকে কী করে সংস্কার করা যায়, কীভাবে তার সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ করা যায় তা নিয়ে কথা বলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ব্যবসায়ী-দোকানদার ও বাজার কমিটির প্রতিনিধিরা। এদিন সাংসদের সফরসঙ্গী ছিলেন সোনারপুর উত্তরে বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম ও রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার বিভিন্ন এলাকার কাউন্সিলর-সহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা। গড়িয়া বাজার থেকে গঙ্গাজোয়ার যাওয়ার রাস্তার বেহাল দশা তিনি পরিদর্শন করেন। সেখানে দাঁড়িয়ে রাস্তার সম্প্রসারণ কীভাবে করা সম্ভব তাও আপ্তসহায়ককে নির্দেশ দেন। বাজার ও রাস্তাকে নতুনভাবে সাজানোর কথা বলেন তিনি।
তারপর ঘুরে দেখেন আদিগঙ্গার বিভিন্ন এলাকা। পঞ্চদশ শতক থেকে সপ্তদশ শতাব্দী পর্যন্ত এই আদিগঙ্গা ছিল হুগলি নদীর প্রধান ধারা। আদিগঙ্গার বিভিন্ন অংশের উপর দিয়ে চলে গেছে গড়িয়া-দমদম মেট্রো রেল। আদিগঙ্গা সংস্কারের জন্য কেন্দ্র-রাজ্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও বর্তমানে সেই কাজ প্রায় থেমে গিয়েছে। বন্ধ কাজকে কীভাবে আরও বেশি উন্নতি ঘটানো যায় তাও তিনি করবেন বলে জানান।
এরপর তিনি যান সোনারপুরের লস্করপুর এলাকায়। যেখানে মূলত একাত্তর কোটি টাকা ব্যয়ে কেন্দ্রের ‘আমরুত” প্রকল্পে গড়ে উঠেছে একটি পানীয় জল প্রকল্প। যার কাজ প্রথম পর্যায়ে শুরু হলেও পরবর্তীতে কেন্দ্র টাকা না পাঠানোই আপাতত তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই জল প্রকল্পের কাজ সেটি যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা যায় তার উপরও জোর দেবেন বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে তিনি কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। এই কাজ দ্রুত সম্পন্ন হলে মানুষের পানীয় জল সরবরাহ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এরপর তিনি আসেন সোনারপুর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক ফিরদৌসি বেগমের দেওয়া ইফতার পার্টিতে। সেখানে তিনি বলেন, ‘মানুষের হয়ে কাজ করব। মানুষের পাশে থাকব। আপনারা আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছেন। ভোটের আগে নির্বাচনী প্রচারে যেমন উন্নয়নের কথা বলেছিলাম, সাতটি বিধানসভা ঘুরে ঘুরে সেই উন্নয়নের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। আপনারা পাশে থাকলে সেই উন্নয়ন আরও দ্রুত করা সম্ভব হবে।’ এরপর তিনি ভাঙড় ও সোনারপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পরিদর্শন করবেন বলেও জানান।
ছবি: বিশ্বজিৎ নস্কর
The post সাংসদ হয়ে উন্নয়নের কাজ খতিয়ে দেখতে নিজের কেন্দ্রে চক্কর দিলেন মিমি appeared first on Sangbad Pratidin.