সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : অনেকদিন পর মেজাজে রাহুল গান্ধী। মধ্যপ্রদেশের মান্দসৌরে কৃষকদের ওপর গুলি চালনোর ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে সামনের সারিতে কংগ্রেসের যুবরাজ। তাঁকে মধ্যপ্রদেশে ঢুকতে বাধা দেওয়ায় বাইকে চেপে বা হেঁটে পুলিশের চোখে ধুলো দেন রাহুল। নেতাকে এভাবে দেখতে পেয়ে চাঙ্গা কংগ্রেসের মেজ, সেজ নেতারাও। অনেকদিন পর মাঠে নামা। অতি উৎসাহী হতে গিয়ে কংগ্রেসের এক বিধায়কের মন্তব্য অস্বস্তিতে ফেলল সোনিয়া গান্ধীর দলকে। শকুন্তলা খটিক নামে ওই বিধায়ক একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। পুলিশের বাধা পেয়ে মেজাজ হারান শকুন্তলা। দলীয় সমর্থকদের থানা জ্বালিয়ে দিতে উস্কানি দেন ওই কংগ্রেস সমর্থক। সোশাল মিডিয়ায় যে ভিডিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
[রাহুলের গ্রেপ্তারি অসাংবিধানিক, জানাল কংগ্রেস]
পুলিশের গুলিতে ৬ কৃষকের মৃত্যুর অভিযোগ। দীর্ঘদিন পর মধ্যপ্রদেশে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে হাতে গরম একটা ইস্যু পেয়েছে কংগ্রেস। হাওয়া গরম থাকতে থাকতে মধ্য প্রদেশের মান্দসৌরে ঢোকার চেষ্টা করেন রাহুল গান্ধী। দলের সহ-সভাপতির এই তৎপরতা দেখে গা-ঝাড়া ভাব কাটিয়ে মধ্যপ্রদেশ জুড়ে আন্দোলনে নেমেছে কংগ্রেস। এমনই একটি বিক্ষোভ সমাবেশ চলছিল ওই রাজ্যের কেরারা এলাকায়। বিক্ষোভ সমাবেশে স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক শকুন্তলা খটিক ও তাঁর অনুগামীদের আটকে দেওয়া হয়। পুলিশের বাধা পেয়ে শকুন্তলা সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন। একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে শকুন্তলা দলীয় কর্মীদের থানা জ্বালিয়ে দিতে নির্দেশ দিচ্ছেন। ঘটনাস্থলে থাকা এক পুলিশকর্মী বিধায়ককে সংযত হওয়ার অনুরোধ জানালেও শকুন্তলা তা করেননি।
[‘ভারতের সীমান্ত এখন আগের থেকে অনেক বেশি নিরাপদ’]
কৃষক বিক্ষোভে ল্যাজেগোবরে হয়ে পড়া মধ্যপ্রদেশ বিজেপি এবার এই ঘটনাকে হাতিয়ার করেছে। মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় টুইটারে ভিডিওটি শেয়ার করেন। দ্রুত তা ভাইরাল হয়ে যায়। জল অনেক দূর গড়িয়েছে বুঝতে পেরে দ্রুত অবস্থান বদলে ফেলেন শকুন্তলা। দাবি করেন এমন কোনও মন্তব্য তিনি করেননি। এমনকী তাঁকে পুলিশ হেনস্তা করে বলে অভিযোগ করেন ওই কংগ্রেস বিধায়ক। তিনি সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করলেও শকুন্তলার মন্তব্যকে সামনে রেখে পাল্টা প্রচার শুরু করেছে বিজেপি।
The post থানা জ্বালানোর নির্দেশ কংগ্রেস বিধায়কের, ছড়াল বিতর্ক appeared first on Sangbad Pratidin.