বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিজেপির কোর কমিটি এবং জোনের দায়িত্ব বন্টন হয়েছে সদ্যই। কোনও দায়িত্বে নেই নদিয়ার রানাঘাট লোকসভার বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এই সিদ্ধান্তের পর অবশেষে মুখ খুললেন তিনি। তাঁর কথাবার্তায় উঠে এল হতাশার ছাপ।
দলের একজন সক্রিয় সাংসদ এবং রাজ্যের সহ সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁকে কোর কমিটি এবং কোনও জোনের দায়িত্ব দেওয়া হল না, সে প্রসঙ্গে বুধবার জগন্নাথ সরকার বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য হাওড়া, হুগলি এবং মেদিনীপুর জোনের দায়িত্ব আমার উপরেই আছে। এই দায়িত্ব আগেই দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য দলীয় সংগঠনের দায়িত্ব ওই তিনটি জোনে আমিই রয়েছি। তাছাড়া রাজ্যের কোনও ভাইস প্রেসিডেন্টকেই কোর কমিটিতেই স্থান দেওয়া হয়নি। সে কারণেই আমাকে নেওয়া হয়নি। দল যেখানে যাকে ভাল মনে করেছে, তাদের প্রয়োজনে সেখানে তাদের রাখতেই পারে। আমি একজন সাংসদ এবং রাজ্যের ভাইস প্রেসিডেন্ট। আমি সংগঠনের সঙ্গেই আছি।”
[আরও পড়ুন: শিবপুরের ব্যবসায়ী শৈলেশের অ্যাকাউন্টে এক বছরে ২০৭ কোটি লেনদেন, টাকার উৎসের খোঁজে ইডি]
জগন্নাথ সরকারের মতো একজন নেতাকে কেন কোর কমিটিতে বা কোনও জোনের দায়িত্ব দেওয়া হল না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন। দলীয় কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, জগন্নাথ সরকারের মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে বারবার গুরুত্বহীন করার চেষ্টা চলছে। কার্যকর্তা এবং কর্মীদের মধ্যে কেউ কেউ সরাসরি ফোন করছেন সাংসদ জগন্নাথ সরকারকেও। সাংসদ বলেন, “ধুর, আমি তো আর কাউকে তেল দিইনা। তাই আমি ওসব নিয়ে ভাবছি না। অনেক আগে থেকেই আমাকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য হাওড়া, হুগলি এবং মেদিনীপুর জোনে দলের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই আমাকে কোথায় রাখা হল, কী হল না, তা নিয়ে আমি খুব একটা ভাবনাচিন্তা করি না।”
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে শান্তিপুরে বিজয়া সম্মিলনীতে সাংসদ জগন্নাথ সরকার হাজির হলে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাঁকে দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির বিভিন্ন মণ্ডলের সভাপতি-সহ নেতাকর্মীরা। জগন্নাথ সরকার ওই বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির হওয়ায় বিজেপির নেতাকর্মী সমর্থকরা সকলেই বেরিয়ে চলে যান। দীর্ঘক্ষণ ধরে একাই বসে থাকতে হয় জগন্নাথ সরকারকে। শেষ পর্যন্ত বিজেপি সাংসদই চলে যান।