shono
Advertisement

Breaking News

উত্তরাখণ্ডে সফল, এবার বঙ্গ বিজেপির অন্তর্কলহ মেটাতে নাড্ডার সঙ্গে কথা চান লকেট

উত্তরাখণ্ডের সাফল্য নিয়ে হুগলির সাংসদকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রের শীর্ষ নেতারাও।
Posted: 12:22 PM Mar 12, 2022Updated: 12:22 PM Mar 12, 2022

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: জয়প্রকাশের মতো ‘সুবিধাবাদী’দের অবিলম্বে দল থেকে বের করে দিয়ে অনুগত ও পুরনো সৈনিকদের দলের সঙ্গে রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন রাজ্যের হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (MP Locket Chatterjee)। রাজ্য বিজেপির অন্দরে যে অন্তর্কলহ চলছে তা মেটানোর জন্য প্রয়োজনে দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান সূত্রও বের করতে চান তিনি। দলের পুরনো নেতা বলতে লকেট যে রীতেশ তিওয়ারি, সায়ন্তন বসুর মতো বিক্ষুব্ধ নেতাদের কথাই বলতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট।

Advertisement

ইতিমধ্যেই এই নেতাদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকও করেছেন তিনি। যা নিয়ে রাজ্য বিজেপির অন্দরে অনেকেই ভ্রু কোঁচকালেও তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ লকেট। এ প্রসঙ্গে তাঁর সাফ জবাব, “এমন তো কোনও নিয়ম নেই যে কথা বলা যাবে না। আর রীতেশ, সায়ন্তন এঁরা দলের পুরনো লোক, আমার থেকে সিনিয়র। এঁরা কথা বলতে চাইলে কেন বলব না?”

[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে আছড়ে পড়ল ভারতের মিসাইল, কী বলছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক?]

লকেট বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন। উত্তরাখণ্ডে সহ-পর্যবেক্ষক হিসাবে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করে সফল হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের ‘কাছের এবং পছন্দের’লোকও হয়ে উঠেছেন তিনি। উত্তরাখণ্ডে তাঁর দায়িত্বে থাকা কুমায়ুনে বিজেপি ভাল ফল করার পরে স্বয়ং নাড্ডা থেকে শুরু করে বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ পর্যন্ত ফোন করে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এমন পরিস্থিতিতে বাংলায় বিজেপির পুরনো নেতাদের যেভাবে সাসপেন্ড করে বসিয়ে রাখা হয়েছে, এই সমস্যার দ্রুত সমাধান চাইছেন লকেট। তার জন্য নাড্ডার মতো শীর্ষ নেতার দ্বারস্থ হতেও যে তিনি পিছুপা হবেন না সেই ইঙ্গিত লকেটের কথাতেই মিলেছে। তবে, এক্ষেত্রে কিছুটা সাবধানী হয়েই যে তিনি চলতে চান তা বোঝা গিয়েছে।

নাড্ডার সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সোমবার থেকে সংসদ শুরু হচ্ছে। আমাদের অনেক নেতাই দিল্লিতে থাকবেন। দিলীপদার সঙ্গে এনিয়ে কথা বলব। নাড্ডাজির সঙ্গে একা দেখা করে কথা বলার চেয়ে দিলীপদা ও বাকিদের সঙ্গে নিয়ে কথা বললেই ভাল হবে। আমি একা নাড্ডাজির সঙ্গে দেখা করে একবার বলব, বাকিরা পরে গিয়ে আবার বলবে, তার থেকে সবাই একসঙ্গে গিয়ে আলোচনা করে যে সমস্ত সমস্যা রয়েছে তার সমাধান করার চেষ্টা করলেই বোধহয় ভাল হবে।”

[আরও পড়ুন: মধুচন্দ্রিমায় গিয়েই সব শেষ! হিমাচলে ‘খাদে পড়ে’ মৃত্যু বাংলার নববধূর]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement