শম্পালী মৌলিক: সাংসদ হওয়ার পর ফের বড় পর্দায় ফিরছেন মিমি চক্রবর্তী। জল্পনা চলছিল অনেকদিন ধরেই, যে কোন পরিচালকের ছবিতে বা কোন ব্যানারের সিনেমায় মিমির প্রত্যাবর্তন ঘটছে। অবশেষে অপেক্ষার অবসান। রাজনীতির পাশাপাশি আবার তিনি ফিল্মে। দেবালয় ভট্টাচার্যর নতুন ছবি ‘ড্রাকুলা স্যর’-এর মাধ্যমে মিমির প্রত্যাবর্তন ঘটতে চলেছে এবং এসভিএফ-এর ব্যানারে। আর মিমির বিপরীতে দেখা যাবে অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে।
ছবির নামভূমিকায় অর্থাৎ ড্রাকুলা স্যরের চরিত্রে দেখা যাবে অনির্বাণকে। এধরনের চরিত্রে তিনি এই প্রথম। পরিচালক দেবালয় জানাচ্ছেন, “এই ছবি আদতে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। একেবারেই মনস্তাত্ত্বিক গল্প বলা চলে। স্কুলে বাংলা পড়ায় এই স্যর। তার ‘ক্যানাইন টিথ’ দুটো একটু বড়। সেই থেকে ‘রক্তিম’-এর নাম হয়ে যায় ‘ড্রাকুলা স্যর’। তার একটা নিজস্ব জার্নি আছে। সে খুঁজছে তার অপূর্ণ ভালবাসাকে। এই সময়ের প্রেক্ষাপটে ছবির গল্প দানা বাঁধলেও চিত্রনাট্য ১৯৭০-এর প্রেক্ষাপটে। যেখানে আছে ড্রাকুলা স্যরের ভালবাসা ‘মঞ্জরি’ অর্থাৎ মিমি চক্রবর্তী।
[আরও পড়ুন:দশভুজাদের কুর্নিশ জানাতে নারী দিবসেই প্রকাশ্যে আসছে ঋতাভরীর ‘গোপন কম্মটি’ ]
নিশ্চয় মনে প্রশ্ন জাগছে যে, এটা ভ্যাম্পায়ারের গল্প, না কি একটা মাইন্ডগেম? পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য বললেন, “গল্প আমার। চিত্রনাট্য লিখেছি আমি আর কল্লোল লাহিড়ী মিলে। সাতের দশক যেহেতু ধরা হবে ফলে, ছবিতে নকশাল আন্দোলনের ছোঁয়াও থাকবে। এটুকু বলতে পারি মিমিকে ‘মঞ্জরি’র মতো চরিত্রে আগে কখনও পায়নি দর্শক। আমার লেখায় মিমি আগেও কাজ করেছে। তবে পরিচালক হিসেবে এই প্রথম মিমির সঙ্গে কাজ করব। অনেকদিন ধরে ওর সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে ছিল, অনেকবার কথাও হয়েছে, এবার হতে চলেছে। একটা সময় মিমির ব্যস্ততার কারণে ওর কথা ভাবিনি। তারপর কথা হল যে, মিমি কাজ শুরু করতে চায়। তখন গল্পটা বলি ওকে। শোনামাত্র ওর পছন্দ হয়ে যায়। আর ড্রাকুলা স্যরের চরিত্রে আমি প্রথম থেকেই অনির্বাণের কথা ভেবেছি। হি ইজ ব্রিলিয়ান্ট!”
মিমি প্রবল ব্যস্ততার মাঝেও মোবাইলে ধরা দিলেন। তাঁর রাজি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে বললেন, “আমার মনে হয়েছিল এই ছবির স্ক্রিপ্টটা আলাদা। ক্যামব্যাক করার জন্য উপযুক্ত। আমার কাছে থ্যাংকফুলি অনেক ছবির অফার এসেছিল, তবুও এটাই আমার পছন্দ হয়েছে। খুব ইন্টারেস্টিং মঞ্জরির চরিত্রটা। দেবালয় প্রথমেই আমাকে বলেছিল ও ‘পুপে’কে মাথায় রেখেছে (হাসি)। কিছুটা ওই ধরনের চরিত্রটা।” প্রসঙ্গত, ‘ধনঞ্জয়’ ছবিতে এর আগে মিমি আর অনির্বাণ কাজ করেছিলেন, কিন্তু পরস্পরের বিপরীতে এই প্রথম। ‘এখন অনির্বাণ সকলের হট ফেভারিট এবং দারুণ কাজ করছে। ওর অভিনয় নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা যদিও আমার নেই। ওর সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি।’ হেসে বললেন অভিনেত্রী সাংসদ।
অন্যদিকে অনির্বাণ জানালেন, “এই ছবি করার অন্যতম কারণ গল্পটা ভাল লেগেছে। আর টেনেছে চরিত্রটা। যে জোনে কাজ করতে চাইছেন দেবালয়দা, সেটা চলচ্চিত্রের জায়গা থেকে খুব নতুন না হলেও বাংলা ছবির জায়গা থেকে নতুন। খুব ইন্টারেস্টিং লেগেছে আমার সব মিলিয়ে।”
দেবালয়ের বড়পর্দার শেষ রিলিজ ছিল ‘বিদায় ব্যোমকেশ’। তারপর পরিচাল ব্যস্ত ছিলেন হইচই-এর কয়েকটি ওয়েব সিরিজের কাজে (যেমন- ‘দুপুর ঠাকুরপো সিজন ওয়ান’, ‘চরিত্রহীন টু’, আর সদ্য এসেছে তাঁর ‘মন্টু পাইলট’)। ফলে ‘ড্রাকুলা স্যর’ দিয়ে দেবালয়ও বড় পর্দায় ফিরছেন অনেকদিন বাদে। তাঁর নতুন ছবির ক্যামেরার দায়িত্বে ইন্দ্রনাথ মালিক। সম্পাদনায় সংলাপ ভৌমিক। মিউজিক করছেন সাকি, অমিত, ঈশান মিলে। আপাতত লোকেশন রেকি চলছে। জানুয়ারির প্রথম ভাগে ছবির শুটিং শুরু হওয়ার কথা।
[আরও পড়ুন: আইন অমান্য করে জাতীয় উদ্যানে শুটিং, মোটা অঙ্কের জরিমানা পরিচালক সৃজিতের]
The post বড়পর্দায় সাংসদ মিমির প্রত্যাবর্তন, বিপরীতে অনির্বাণ ভট্টাচার্য appeared first on Sangbad Pratidin.