সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেটে যে তাঁর চেয়ে ভাল ডিআরএস-এর সিদ্ধান্ত কেউ নিতে পারেন না, এ বিষয়টি আপাতত তর্কাতীত। মহেন্দ্র সিং ধোনি যখনই কোনও আউটের জন্য রিভিউ চেয়েছেন, অধিকাংশ সময়ই তা ঠিক হয়েছে। তাই মাঠে ধোনির উপস্থিতিতে অধিনায়ক কোহলিও নিজে এ নিয়ে একা সিদ্ধান্ত নেন না। বর্তমানে তো ক্রিকেটপ্রেমীরা ডিআরএস-এর নামই বদলে দিয়েছেন। ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম হয়ে গিয়েছে ‘ধোনি রিভিউ সিস্টেম।’ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চতুর্থ ওয়ানডে-তেও যার ব্যতিক্রম হয়নি।
[অঙ্কিতের স্মৃতি ফিরল নবদ্বীপে, মাথায় বল লেগে মৃত্যু দৃষ্টিহীন ক্রিকেটারের]
শনিবারও মূল্যবান মুহূর্তে একটি রিভিউ বাঁচিয়ে দিলেন মাহি। ধোনির সেই দুর্দান্ত সিদ্ধান্তের ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ঠিক কোন সময় ঘটেছিল ঘটনাটি? ক্রিজে তখন ব্যাট হাতে প্রোটিয়া ওপেনার হাসিম আমলা। জসপ্রীত বুমরাহর ডেলিভারি আমলার ব্যাট স্পর্শ না করেই পৌঁছে যায় ধোনির হাতে। কিন্তু আপাত দৃষ্টিতে তা দেখে মনে হয়েছিল বলটি ব্যাটের কানায় লেগেছে। আর তাই আম্পায়ারের কাছে আউটের আবেদন জানান বুমরাহ। আম্পায়ার আউট দেননি। কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ কোহলি। রোহিত শর্মাও অধিনায়ককে রিভিউ নেওয়ার পরামর্শ দেন। তবে চিরাচরিত অভ্যাসে কোহলি তাকিয়েছিলেন ধোনির দিকেই। মাথা নেড়ে রিভিউ নেওয়ার দরকার নেই বলে জানিয়ে দেন ধোনি। আর তাইই কোহলির জন্য যথেষ্ট ছিল। পরে অ্যাকশন রিপ্লে ও আলট্রা এজ-এও দেখা যায় ধোনিই ঠিক। বলটি ব্যাটে লাগেনি। রিভিউর সিদ্ধান্তে টিম ইন্ডিয়ায় তিনিই যে শেষ কথা, তা আরও একবার প্রমাণিত।
জোহনেসবার্গে ভারত হারলেও সিরিজ জয়ের আশা এখনই ছাড়ছে না বিরাটবাহিনী। হারের স্মৃতি অতীত করে রবিবার দল পৌঁছে গিয়েছে পোর্ট এলিজাবেথে। আর ছবির মতো সাজানো এ শহরে পা রাখতেই ধোনি-কোহলিদের অন্যরকমভাবে স্বাগত জানানো হল। দক্ষিণ আফ্রিকার ট্র্যাডিশনাল কায়দায় ড্রামস বাজিয়ে, গান গেয়ে হোটেলে রবি শাস্ত্রীদের স্বাগত জানালেন স্থানীয় শিল্পীরা। যার ভিডিও পোস্ট করেছে বিসিসিআই। ১৯৯২ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত জর্জ’স পার্কে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে মোট চারটি ওয়ানডে খেলেছে ভারত। কিন্তু একটিতেও জয়ের মুখ দেখেনি তারা। এবার সেই ইতিহাসকেই পালটে দিয়ে সিরিজ জিততে মরিয়া বিরাট অ্যান্ড কোং।
[সিন্ধুকে বিদায়, ভারতের মতো ‘গরিব’ দেশ থেকে ব্যবসা গোটাচ্ছে Yonex!]
The post রিভিউ নিয়ে রোহিত পরামর্শ দিলেও ধোনির আদেশই পালন করলেন বিরাট appeared first on Sangbad Pratidin.