shono
Advertisement

লক্ষ্য কর্মসংস্থান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য নতুন ১০০টি পার্ক তৈরির অনুমোদন রাজ্যের

২০১৪ সালে প্রথম এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। The post লক্ষ্য কর্মসংস্থান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য নতুন ১০০টি পার্ক তৈরির অনুমোদন রাজ্যের appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 11:52 AM Sep 10, 2020Updated: 11:53 AM Sep 10, 2020

স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের শিল্পের জন্য (এমএসএমই) নতুন ১০০টি পার্ক তৈরির অনুমোদন দিল সরকার। ২০১৪ সালে প্রথম এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওয়েস্ট বেঙ্গল ইনসেনটিভ স্কিমের আওতায় সেই উদ্যোগের মেয়াদ ফুরোচ্ছে চলতি মাসেই। তার মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়িয়ে আরও নতুন উদ্যোগকে উৎসাহ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বুধবার নেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। পরে এ নিয়ে সাংবাদিকদের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এর ফলে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।”

Advertisement

গত কয়েক বছরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মোট ১৩০০ একর জমির উপর ১৪টি এমন পার্ক গড়ে উঠেছে। তাদের মধ্যে বানতলা, হাওড়ার মতো একাধিক এমএসএমই পার্ক বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য। যাদের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে দাবি অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের। নতুন করে যেসব এমএসএমই পার্ক তৈরির সিদ্ধান্ত এদিন হয়েছে সেগুলি কো-অপারেটিভ, ব্যক্তিগত বা সহযোগী উদ্যোগে সেগুলি তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব। এগুলো তৈরির জন্য রাজ্য সরকারের তরফে কিছু শর্ত এবং বেশ কিছু সুযোগসুবিধা দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
পার্কগুলি অন্তত ২০ একর জমির উপর গড়ে তুলতে হবে। থাকতে হবে অন্তত ২০টি এমএসএমই ইউনিট। ৬০ একরের উপর জমি থাকলে ওয়্যারহাউস, গুদাম, হিমঘর তৈরির দিকেও জোর দিতে হবে। প্রকল্পের জন্য অনুমোদিত পুঁজির অন্তত ২০ শতাংশ কমোন ফেসিলিটি সেন্টারের জন্য নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে খরচ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে বেশ কিছু সুযোগসুবিধার কথাও বলে দেওয়া হয়েছে। পরিকাঠামো খাতে ‘ব্যাকএন্ড ইনসেনটিভ’ দেওয়া হবে। অর্থাৎ যা খরচ হল তার কিছু অংশ ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

[আরও পড়ুন: আসানসোল পুরনিগমের সাইনবোর্ডে উপেক্ষিত বাংলা! ভাইরাল ভুয়ো ছবি, আইনি ব্যবস্থার পথে মেয়র]

২০ থেকে ৩৯ একর পার্কের আয়তন হলে ২ কোটি টাকা। ৪০ থেকে ৫৯ একর হলে ৪ কোটি টাকা। ৬০ থেকে ৭৯ একর হলে ৬ কোটি। ৮০ থেকে ৮৯ একর হলে ৮ কোটি টাকা। ১০০ একর বা তার বেশি হলে ১০ কোটি টাকা। তার মধ্যে বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য ইউনিট বসানো হলে একরপিছু আরও পাঁচ লক্ষ টাকা ইনসেনটিভ দেওয়া হবে। জমি কেনার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটিও উদ্যোগপতিদের ফেরত দিয়ে দেবে বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য। উপরন্তু বানিয়ে দেওয়া হবে পাওয়ার সাবস্টেশন। এমনকী, বড় রাস্তার সঙ্গে সংযোগকারী দেড় কিলোমিটার রাস্তাও বানিয়ে দেওয়া হবে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে এদিন প্রায় দশজন মন্ত্রী যোগ দেননি। তাঁদের মধ্যে কারও পরিবারে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ফলে তিনি আইসোলেশনে। কোনও মন্ত্রী আবার নিজেই সংক্রমণের শিকার। কেউ ষাটোর্ধ্ব। বৈঠকে না আসার কারণ তাঁরা আগেই জানিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর।

[আরও পড়ুন: রবিবার পর্যন্ত বৃষ্টিতে ভাসতে পারে বাংলার বেশ কয়েকটি জেলা, জানুন কী বলছে হাওয়া অফিস]

The post লক্ষ্য কর্মসংস্থান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য নতুন ১০০টি পার্ক তৈরির অনুমোদন রাজ্যের appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement