ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: কেন্দ্রের সুপারিশ মেনে মিউকরমাইকোসিসকে (Mucormycosis) ‘নোটিফায়েবল ডিজিজ’এ মহামারী আইনের অন্তর্ভুক্ত করল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার এই মর্মে স্বাস্থ্যদপ্তর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ফলে এই রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও মানতে হবে সরকারি নির্দেশিকা। চিকিৎসার ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম মানতে হবে, এদিন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর।
ভারতে প্রথম রাজস্থান মিউকরমাইকোসিসকে মহামারী আইনের (Pandemic) আওতায় আনে। এরপর একে একে অন্ধ্রপ্রদেশ, পাঞ্জাব-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য ছত্রাক ঘটিত মিউকরমাইকোসিস রোগকে মহামারী আইনের আওতায় আনে। এরপরে গত ১ মে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই রোগকে ১৮৯৭ সালের মহামারী আইনের আওতায় আনে। একইসঙ্গে বাকি রাজ্যগুলিকেও এই রোগকে মহামারী আইনের আওতায় আনার পরামর্শ দেয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরামর্শ মেনেই এবার রাজ্য প্রশাসনও এই আইন বলবৎ করল।
[আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, আদালতের নির্দেশে থাকবেন গৃহবন্দি]
স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কলকাতা-সহ রাজ্যের যে কোনও জেলায় মিউকরমাইকোসিস আক্রান্ত কোনও রোগীর হদিশ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক বা প্রশাসনের গোচরে আনতে হবে। বাধ্যতামূলকভাবে সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, চিকিৎসককে এই নিয়ম মানতে হবে। যে এলাকায় রোগ চিহ্নিত হয়েছে তা যেমন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানাতে হবে, তেমনই রোগীর পরিচয় এবং কী ধরনের চিকিৎসা করা হচ্ছে তাও জানাতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, করোনা অতিমারীর আবহে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় মিউকরমাইকোসিস রোগীর সন্ধান মিলেছে। ইতিমধ্যে কলকাতা সংলগ্ন হরিদেবপুরে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে আক্রান্ত প্রায় পনেরো জন। এসএসকেএম, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ-সহ কয়েকটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই রোগ নির্ণয় চিকিৎসা এবং গবেষণার জন্য উৎকর্ষকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। মিউকরমাইকোসিস রোগ প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে তোলা হয়েছে।