গোবিন্দ রায়: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবারও স্বস্তি মিলল না প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর তৃতীয় বেঞ্চ। ফলে আরও বিপাকে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই সংক্রান্ত সিবিআইয়ের মামলা জামিন মিলল না এই দুর্নীতিতে যুক্ত বাকি চারজনেরও। তাঁদের আপাতত জেলেই থাকতে হবে। এ বিষয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য মৌন থাকতে পারে না বলেও পর্যবেক্ষণ বিচারপতি চক্রবর্তীর।
মঙ্গলবার হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বেঞ্চে পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৫ জনের জামিন মামলার শুনানি ছিল। সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্য়ায়, এসপি সিনহা, অশোককুমার সাহাও জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ইডির আইনজীবীরা জোর সওয়াল করেন যে পার্থ-সহ অন্যান্যরা বেশ প্রভাবশালী। তাঁদের জামিন দিলে এই মামলার অনেক কিছু নষ্ট হতে পারে। এছাড়া তাঁরা জামিন পেলে প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে অন্যায় হবে।
সওয়াল-জবাবের পর বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর পর্যবেক্ষণ, অভিযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অযোগ্যরা শিক্ষক হয়ে স্কুলে গেলে সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থার অবনতি হয়। তা কীভাবে দূর একইসঙ্গে তাঁর মন্তব্য,''সততার সঙ্গে পরীক্ষা দিয়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।'' বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, নিম্ন আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার ক্ষেত্রে রাজ্যের কাছে যে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল সিবিআইয়ের তরফে, তা নিয়ে রাজ্য মৌনতা বজায় রাখে। রাজ্যের তরফে এমনটা কাম্য ছিল না। রাজ্যের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। দীর্ঘ দিন কেটে গেলেও এ নিয়ে রাজ্য কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ উঠছে। এরপরই প্রশ্ন তোলেন, ট্রায়ালের অনুমতি দিতে রাজ্য চুপ কেন? তবে কি বুঝতে হবে অভিযুক্তদের সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের এখনও যোগ রয়েছে?