সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ”আর দু, একদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন শুভেন্দু অধিকারী। আশা করছি, তিনি বিজেপিতেই যোগ দেবেন।” সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এই মন্তব্য করে জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় (Mukul Roy)। তাঁর কথায়, ”শুভেন্দুকে নিয়ে যে টানাপোড়েন চলছে, তাতে আগামী দু, একদিনের মধ্যেই ইতি পড়বে। উনি তো মন্ত্রিসভা ছেড়েছেন। সময়েই বলবে কোন পথে পা বাড়ান। তবে উনি বিজেপিতে যোগদান করবেন বলে আমি আশাবাদী।”
রবিবার শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) সভা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। সেই সভা থেকেই তিনি আগামী পরিকল্পনা ঘোষণা করতে পারেন বলে জোর জল্পনা। তার মাঝেই মুকুল রায়ের এই মন্তব্য স্বভাবতই শুভেন্দুকে নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কের পালে আরও কিছুটা হাওয়া লাগল।
[আরও পড়ুন: ‘সভা করতে বাধা দিচ্ছে অনুব্রত মণ্ডল’, ফের বিস্ফোরক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী]
রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে আসা এবং সরকারি বেশ কয়েকটি দায়িত্বে শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফার পর সপ্তাহখানেক কেটে গিয়েছে। বঙ্গ রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ নেতার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে এখনও কোনও নির্দিষ্ট পথ দেখা যায়নি। তৃণমূলের সঙ্গে পুরোপুরি সম্পর্ক ছেদ করে তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন, এই জল্পনার জল গড়িয়েছে অনেক দূর। কিন্তু তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। দলের তরফে তাঁর সঙ্গে দু, একবার আলোচনায় বসে বোঝানোর চেষ্টা হলেও সুরাহা হয়নি। দলের সঙ্গে শুভেন্দুর দূরত্ব রয়েই গিয়েছে। এই অবস্থায় গেরুয়া শিবির তাঁকে পেতে কার্যত মরিয়া হয়ে উঠেছে। বঙ্গের একাধিক বিজেপি নেতার কথাবার্তায় তা একেবারে স্পষ্ট। কখনও দিলীপ ঘোষ, কখনও অর্জুন সিং, কখনও আবার মুকুল রায়ের মতো নেতারা শুভেন্দু অধিকারীকে আগাম স্বাগত জানাচ্ছেন। তবে মুকুল রায়ের সাম্প্রতিকতম বক্তব্যে যেন বেশ খানিকটা আত্মবিশ্বাসের সুর। তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একদা নির্ভরযোগ্য সেনাপতির রাজনৈতিক পরিচয় পালটে যাওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা? জোরাল হচ্ছে এই জল্পনা।
[আরও পড়ুন: বাড়ছে নন সুবার্বন ট্রেন, আগামী সপ্তাহ থেকে আরও বেশি চলবে দূরপাল্লার ট্রেনও]
এদিকে, শনিবার শুভেন্দুর গড়েই সভা করবেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে এদিন দুপুরে জনসভা তাঁর। তার আগে সকালেই তিনি বেরিয়ে পড়েছেন দলের ‘গৃহ সম্পর্ক’ কর্মসূচিতে। বেশ কয়েকটি বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন, কথা বলে তাঁদের অভাব, অভিযোগে শোনেন, কী সমস্যা রয়েছে, তাও জানতে চান বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সকালে চা-চক্র থেকে তিনি হুঙ্কার দেন, ”মেদিনীপুর থেকেই আগামী দিনে রাজ্যে পরিবর্তন শুরু হবে। আগে তৃণমূলে বদল হবে, পরে রাজ্যে পরিবর্তন আসবে।” ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি নিয়েও মমতা প্রশাসনকে বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ।