দীপালি সেন: দমদম বিমানবন্দরের ট্যাক্সি বে-তে গর্ত। সেই গর্তে বিমানের সামনের চাকা আটকে বিপত্তি। প্রায় একঘণ্টা পর উড়ল মুম্বইগামী বিমান। সামান্য বিঘ্নিত হল অন্যান্য উড়ানের পরিষেবাও। শনিবার সন্ধেয় এমন ঘটনা ঘটে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
এদিন বিকেল চারটে নাগাদ কলকাতা থেকে মুম্বইয়ে উড়ে যাওয়ার কথা ছিল ইন্ডিগোর বিমানের। ধীর গতিতে ট্যাক্সি বে থেকে বেরনোর সময় বিপত্তি বাঁধে। গর্তের মধ্যে আটকে যায় বিমানের সামনের চাকা। প্রায় আধ ঘণ্টার চেষ্টায় দু’টি ট্রাক্টর এনে টো করে বিমানটিকে সরানো হয়।
[আরও পড়ুন: অমরনাথ বিপর্যয়: ‘বর্ষা আর নেই’, মেঘ ভাঙা বৃষ্টির পর ফোন সহযাত্রীদের, শোকে পাথর পরিবার]
এদিকে ততক্ষণে ওই বিমানের পিছনে আরও কয়েকটি উড়ানের লাইন পড়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে দমদম বিমানবন্দরের উড়ান পরিষেবা সাময়িকভাবে সামান্য বিঘ্নিত হয় বলে বিমানবন্দর সূত্রে খবর। অন্যান্য বিমানগুলির উড়ানের পর নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় ১ ঘণ্টা পর অর্থাৎ বিকেল ৫টা নাগাদ ইন্ডিগোর বিমানটি রওনা দেয়। ইঞ্জিনিয়ারদের ছাড়পত্র পাওয়ার পর রওনা দেয় বিমানটি।
ট্যাক্সি বে-তে এমন গর্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্নের মুখে বিমানবন্দরের ট্যাক্সি বে-র রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েও। কেন আগেভাগে বিষয়টি নজরে এল না, তা নিয়েও বাড়ছে ধন্দ। যদিও বিমানবন্দরের একাংশের দাবি, দিনে প্রচুর বিমান ওঠানামা করে, সেক্ষেত্রে গর্ত তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে সময়মতো তার মেরামতির প্রয়োজনীতাও স্বীকার করে নিয়েছে তারা।
জানা গিয়েছে, রানওয়েতে পৌঁছানোর আগে ট্যাক্সিওয়েতে বিমানের গতি কম থাকে। তাই গর্ত থেকে চাকা উঠিয়ে আনার মতো উপযুক্ত গতি ছিল না বিমানটির। তাই বিমানটিকে উদ্ধারের জন্য অ্যাপ্রন এলাকা থেকে টো-ট্যাক্টর আনতে হয়। অন্যদিকে, প্রাইমারি রানওয়ের সঙ্গে সেকেন্ডারি রানওয়ে সংযোগকারী প্রধান ট্যাক্সিওয়েটি এই ঘটনার জন্য অবরুদ্ধ হয়ে থাকে। তাই সূচিতে থাকা অন্য বিমানগুলিকে টেক-অফের জন্য ট্যাক্সিওয়ে ‘এ’ ব্যবহার করতে হয় সেই সময়। এই ট্যাক্সিওয়ে দিয়ে প্রাইমারি রানওয়েতে আসার পর বিমানকে কিছুটা পিছিয়ে আসতে হয়। তাই সময়ও বেশি লাগে। সেকারণেই প্রাইমারি রানওয়ের ঘণ্টা প্রতি বিমান ওঠা-নামার ক্ষমতা কমে যায়। সবমিলিয়ে সাময়িকভাবে ব্যহত হয় বিমান পরিষেবা।
সম্প্রতি মাঝ আকাশে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিয়েছিল একাধিক বিমানে। উল্লেখ্য, মাত্র ২৪ ঘণ্টায় তিনবার বিপত্তি হয় স্পাইসজেটের (SpiceJet) উড়ানে। দুবাইগামী SG-11 বিমানটি আকাশে ওড়ার কিছু পরে সেটিতে গোলযোগ দেখা দেয়। বিমান মাঝ আকাশে থাকাকালীন সেটির বাঁ দিকের ট্যাঙ্ক থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। আরও দেখা যায়, বিমানটির জ্বালানি দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। করাচি বিমানবন্দরে বিমানটির জরুরি অবতরণ করানো হয়। এরপর গুজরাট থেকে মুম্বইগামী বিমানের উইন্ডশিল্ডে ফাটল ধরে মাঝআকাশে। ওই বিমানটিকেও জরুরি অবতরণ করানো হয়। শেষ ঘটনাটি স্পাইসজেটেরই চিনগামী (China) একটি মালবাহী বিমানের। মাঝআকাশে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয় বিমানটিতে। ‘ওয়েদার রেডার’টি কাজ করছিল না। বাধ্য হয়ে বিমানটিকে কলকাতা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়।