সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়। কখনও সে ফিরে এসে আনন্দে ভরিয়ে দেয়। তো কখনও গভীর শোকে আচ্ছন্ন করে। শনিবারের যুবভারতীতেও ফিরল ইতিহাস। যা সবুজ-মেরুন সমর্থকদের ক্ষতবিক্ষত করে দিল। তিন বছর আগের ক্ষতে যেন নতুন করে নুন ছিটিয়ে দিল মুম্বই।
১৩ মার্চ ২০২১ সাল। গোয়ার ফাতোরদা স্টেডিয়ামে আইএসএল ফাইনালে সম্মুখ সমরে নেমেছিল মুম্বই ও মোহনবাগান। সেবার ১৮ মিনিটে উইলিয়ামসের গোলে এগিয়ে গিয়েছিলেন হাবাসের ছেলেরা। কিন্তু জোড়া গোল করে ট্রফি ঘরে তুলেছিল লোবেরার দল। কাট টু ৪ মে, ২০২৪। এবার দুই দল ফাইনালে মুখোমুখি যুবভারতীতে। মোহনবাগানকে দ্বিতীয়বার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হতে দেখার আশায় বিভোর ছিল ফুটবলের মক্কা। খেলার শুরুতে আবারও রঙিন স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন জেসন কামিন্স। কিন্তু ওই যে, বিধির লিখন যেন আগেভাগেই লেখা হয়ে গিয়েছিল। আবারও তেড়েফুঁড়ে উঠল মুম্বই। এবার জোড়া নয়, তিন গোলে তছনছ করে দিল লিগ শিল্ড জয়ীদের। এই হাবাস বাহিনীর কাছে পরাস্ত হয়েই যে লিগ শিল্ড হাতছাড়া হয়েছিল। তাই মধুর প্রতিশোধ নিয়েই সেই জ্বালা মেটালেন ক্রাটকিরা। আর তপ্ত যুবভারতীতে ছাংতেদের উচ্ছ্বাসের আগুনে আরও একবার জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে গেল মোহনবাগানের কাপ জয়ের স্বপ্ন।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপির পরিকল্পিত চক্রান্ত’, সন্দেশখালির ‘স্টিং’ ভিডিও হাতিয়ার করে তোপ অভিষেকের]
ম্যাচ শুরুর আগেই ক্রাটকি জোর গলায় বলে দিয়েছিলেন, যুবভারতীর শব্দব্রহ্মকে নিশ্চুপ করানোর লক্ষ্যেই মাঠে নামবে মুম্বই। হলও তাই। ভ্যাপসা গরমকে তোয়াক্কা না করে গ্যালারিতে বসা শরীরগুলো ঘামে ভিজে ক্লান্তিতে নুইয়ে পড়ল শেষমেশ। চোখের জলে ভিজলেন হাজার হাজার সবুজ-মেরুন সমর্থক। তাঁরা যে এদিন ধরেই নিয়েছিলেন, দুরন্ত ফর্মে থাকা এই মোহনবাগানকে হারায়, সাধ্য কার? কিন্তু সব বিশ্বাস আর প্রার্থনায় জল ঢেলে অসাধ্যসাধন করল মুম্বই।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ক্রাটকি বলছিলেন, "কামিন্সের দুর্দান্ত গোলে ওরা এগিয়ে গিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু আমরা এক মুহূর্তের জন্য হার মানিনি। বিপিন দারুণ খেলেছে। ও আমাদের দলের সম্পদ। অনেকগুলো গোলের সুযোগ তৈরি করতে পেরেছিলাম আমরা। গোটা দলের ভালো পারফরম্যান্সের জন্যই এই জয় এসেছে।"
আইএসএলে মোহনবাগানের 'লাকি' কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। ধুকতে থাকা দলকে খাদের কিনারা থেকে ফিরিয়ে লিগ শিল্ড জিতিয়েছেন তিনি। কিন্তু মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ফাইনালের গাঁট কাটল না।